• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

আগামীতে এই ভুল আর হবে না : শাকিব খান

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

দুই দশকের চলচ্চিত্র অভিযাত্রায় তিনি নিজেই এখন পুরো বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছেন সাফল্য ও ব্যবসার মানদণ্ডে। তিনি ঢাকাই ছবির সুপারস্টার শাকিব খান। ১৯৯৯-এর 'অনন্ত ভালোবাসা' থেকে ২০১৯ এসে ‘পাসওয়ার্ড’ ও মনের মতো মানুষ পাইলা না’। ক্যারিয়ারের ২০ বছ পূর্ণ করা এ নায়কের নামেই  গত একদশক ধরে  পার পেয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সিনেমা। 

১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল কাটানো হয় এ নায়কের সঙ্গে। কথায় কথায় জানালেন চলচ্চিত্রের বর্তমান ব্যস্ততার পাশাপাশি ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা। তবে বার বার একই কথা শোনা গেলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এ নায়কের মুখে।অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বললেন ‘অনেক হয়েছে আর না!’ মামুন

ক’দিন আগে দুবাই গেলেন। হঠাৎ করে দুবাই সফর কেনো? 

দুবাইতে গিয়ে আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। সেখানে অনেক সম্মান পেয়েছি। যা আমাকে মুগ্ধই করেছি। আমি যাবো এই উপলক্ষে বিলাসবহুল র‍্যাডিসন ব্লুতে আমি যাওয়ার দু'দিন আগে থেকে ডিজিটাল ব্যানার করা হয়েছিলো। দুবাই গিয়েছি দুটি ছবির প্রজেক্ট নিয়ে। দুবাই এবং লন্ডন মিলিয়ে এই দুটি ছবির শূটিং হবে। জয়েন্ট প্রযোজনা। বাইরের প্রযোজক আর আমার এসকে ফিল্মস। ছবির জন্য দুবাইতে র‍্যাকি করতে গিয়েছিলাম। লন্ডনে শুটিং করলেও দুবাইতে আগে আমার শুটিং করা হয়নি। তাই দুবাই যাওয়া। শুটিংয়ের ৭দিন আগে র‍্যাকিটা গুছিয়ে নিতে হবে। প্রি-প্রডাকশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে। অপেক্ষা করুন কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে সব...। নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে সিদ্ধান্ত মোতাবেকই আগাবো এখন থেকে।

কি সেই নতুন সিদ্ধান্ত?  

মানহীন কাজ আর করবো না। একেবাইরে করবো না। দেশে-বিদেশে লক্ষ-কোটি মানুষ আমাকে এবং আমার কাজকে ভালোবাসে, সম্মান করে। দুবাই গিয়েও সেটা টের পেলাম। তারা আমার কাছে কেবল ভালো কাজটাই চাচ্ছে আর কিছু নয়। তাহলে তাদের  তারা আমার কাছ থেকে ভালো কাজ চায়। দু’একজনকে খুশি রাখতে লক্ষ-কোটি ভক্তদের কেনো ঠকাবো। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা আমাকে ভালোভাসে  তাদের জন্য হলেও কাজের ক্ষেত্রে আর কম্প্রোমাইজ করবো না। প্রয়োজনে সারা বছর কোন কাজই করবো না। তবুও মানহীন কাজে আর নয়। যারা আমার কাছে ভালো কাজ আশা করেন তাদের আর নিরাশ করবো না। কোটি মানুষের চাওয়া আমার কাছে বড়। সত্যিই বলছি, অনেক হয়েছে আর না!

 এমন উপলব্ধি কী আরও আগে আসা প্রয়োজন ছিলো না?

উপলব্ধি আগেই ছিলো কিন্তু। ভেবেছিলাম হয়তো গুটি কয়েকজন মানুষও বোঝবে। তারা ভালো কিছু করতে পারবে। কিন্তু না। তারা বোঝেনি। তাই কোরবানির ঈদের পর থেকে উপলব্দিটা সিরিয়াস এসেছে। নিজের কাজ নিয়েই থাকবো। বুঝে গেছি, আমি একা এই সেক্টরটাকে চেঞ্জ করতে পারবো না।কারও একার পক্ষে সম্ভবও না। এখন থেকে আমি আমার কাজের উন্নয়নের দিকে নজর দেবো।  সবাইকে পরিবর্তন করার চেষ্টাটা বোকামি। যে চেষ্টা গত একবছরে ধরে করেছি। এখন থেকে সময় উপযোগী যেসব কাজ হবে সেগুলোকে শতভাগ ফোকাস করবো। সংখ্যা কোনো ব্যাপার না, ভালো কাজ করবো। দরকার পড়লে বছরে একটা-কিংবা দু’টো কাজ করবো।   

তাহলে শাকিব খান আর মানহীন কোন ছবি করবেন না। এটা জোর দিয়ে লিখতে পারি?

অবশ্যই। আবারও বলছি কোয়ালিটি ছাড়া কোন ছবি আর করবো না। দরকার পড়লে বছরে একটা-কিংবা দু’টো কাজ করবো। কিংবা করবোই না।    

নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছেন। তাহলে পুরোনো যে ছবিগুলো হাতে আছে। সেগুলোর কী হবে? 

পুরাতন কোনো কাজ নেই হাতে। ‘একটু প্রেম দরকার’-এর ডাবিং বাকি ছিল। দু’দিনে শেষ করে দিয়েছি। এখন ‘আগুন’-এর কাজ করছি। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত একটানা কাজ করে শেষ করে দেব। এরপর থেকে শুধুই নিজের জন্য ভাববো। 

পরিচালক নির্বাচনে আপনার আরও চুজি হওয়া উচিত না?  

সমস্তকিছুতে আমি সিরিয়াসলি কাজ করবো। পুরনো ধ্যানধারণা সব বাদ। মানে একেবারে ডিলিট। বললামই তো, দু'চারজন মানুষের সমস্যা সমাধান করার চাইতে আমার কাছে কোটি মানুষের চাওয়াটা বড়। এতে করে ইন্ডাস্ট্রির দু'চারজন মানুষ যদি আমার উপর অখুশী হয় তাতে আমার কিছুই আসবে যাবেনা।  

ফিটনেসের দিকে নজর দিচ্ছেন?

আমি নিজেও চাই ফিটনেস সচেতন হতে। কিন্তু একজন মানুষ যদি এতদিকে নজর দিতে যায়, তাহলে হবে কিভাবে! রোযার ঈদ, কোরবানির ঈদের ছবি দেয়ার জন্য খুব তাড়াহুড়ো গেছে। নিজেরই ক্ষতি করেছি। সবমিলিয়ে পুরো বছরটাই মাটি হয়ে গেল। আগামী এই ভুল আর হবে না।   

আপনার কাজগুলো এতো তাড়াহুড়োর মধ্যে হয় কেন? 

 ‘পাসওয়ার্ড’ রোযার ঈদে মুক্তির পরেই কোরবানির ঈদের ছবির জন্য দিনরাত এক করে কাজ করলাম। এতো নাকেমুখে করে ভালো কাজ করা মুশকিল। একটা বিষয় ভেবে কাজ করছিলাম, অনেক চেষ্টা করলাম। কিন্তু হলো না। এতো এতো সমস্যা আমার একার পক্ষে সমাধান সম্ভব না। এখন থেকে ধীরে সুস্থে করবো। আমার ফ্যানদের জন্যই কাজ করবো।     

প্রেক্ষাগৃহে মেশিন দিয়ে সাড়া কেমন পাচ্ছেন

রোজার ঈদে আমি আট হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা করে দিয়েছি। কিন্তু আমি মেশিন বসানোর পর সেই টাকার অঙ্ক অনেক কমে গেছে। যে অ্যামাউন্ট দিতে হচ্ছে সেটা প্রযোজকের গায়েই লাগে না। ছয়হাজার হয়েছে দুইহাজার, আটহাজার হয়ে গেছে চারহাজার টাকা। এটা প্রযোজকদের খুব উপকার হচ্ছে। 

'সালমান শাহ জন্মোৎসব' হচ্ছে সাতদিনব্যাপী। জীবদ্দশায় আপনার ছবি নিয়েও ২০০৮ সালে উৎসব হয়েছিল। সেটা কি মনে আছে? 

 ঠিক পুরোপুরি মনে নেই। তবে এতোটুকু খেয়াল আছে অনেকগুলো সিনেমা হলে আমার ছবি দিয়ে উৎসব হয়েছিল এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত অর্থ নিয়ে শিল্পী সমিতির ফান্ডে দেয়া হয়েছিল।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা