• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

আকাশে-বাতাসে এখন শারদ উৎসবের শিহরণ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০১৯  

আকাশে-বাতাসে এখন শারদ উৎসবের শিহরণ। শিল্পী তুলির নিপুণ আঁচড়ে উদ্ভাসিত করে তুলেছে মহিষাসুরমর্দিনীকে। কুমারপাড়া থেকে প্রতিমার অধিষ্ঠান শুরু হয়েছে মণ্ডপে। বোধনে খুলে গেছে তাঁর আয়ত চোখের পলক। অসুর বধে চক্র, গদা, তীর-ধনুক, খড়গ-কৃপাণ-ত্রিশুল হাতে দেবী হেসে উঠেছেন এই ধরণীতে। সনাতন বিশ্বাসে, কৈলাশ শিখর ছেড়ে পিতৃগৃহে এসেছেন মা দুর্গা।

দেবী দুর্গা ঢাকায় ঠিক কবে বারোয়ারী মণ্ডপে এসেছিলেন তা নিয়ে অবশ্য নানা মুনির নানা মত পাওয়া যায় । কেউ বলেন- বল্লাল সেন চতুর্দশ শতাব্দীতে তৈরি করেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। অর্থাৎ দেবী দূর্গা সে আমলে ঢাকায় অপরিচিত ছিলেন না। আবার ফাঁক রয়ে যায়, বল্লাল সেনের ঢাকেশ্বরী মন্দির তৈরির ঘটনা এখনো প্রমাণিত নয়। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রাচীন যে কাঠামো এখনো দাঁড়িয়ে তা কোনোভাবেই কোম্পানি আমলের আগেকার নয়। ঢাকার দুর্গাপূজার সবচেয়ে পুরোনো তথ্য পাওয়া যায় অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্তের আত্মজীবনী থেকে। ১৮৩০ সালের সূত্রাপুরের একটি পূজার উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রায় দোতলা উঁচু ছিল দুর্গা প্রতিমাটি। সে সময়ে নন্দলাল বাবুর মৈসুন্ডির বাড়িতে পূজাটি হয়েছিল। তবে এরপর আর কোনো বিস্তারিত বর্ণনা নেই সে পূজার। এছাড়াও ইতিহাস বলে ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের পূজাও এক সময় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। সে সময় গোটা বাংলাতেই ব্রাক্ষ্মণদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যেত। তবে কিছুকাল পরেই অন্যান্য শ্রেণীর মানুষের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ব্রাক্ষ্মণদের আধিপত্য। অনেকে পুরোহিত ছাড়াই শুরু করেন পূজা। তবে সেটাও যে খুব একটা প্রচলিত রীতি ছিল তা নয়।

ঢাকায় দুর্গাপূজা সাধারণ্যে আসতে প্রচুর সময়ের প্রয়োজন পড়ে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ঢাকায় সময় কাটানো বিভিন্ন মানুষের আত্মজীবনী থেকে। হৃদয়নাথ, গণিউর রাজা, বুদ্ধদেব বসুসহ গত শতকের শুরুর দিকে যারা ঢাকায় সময় কাটিয়েছেন, তাদের কারো লেখাতেই আসেনি দুর্গাপূজার প্রসঙ্গ। এমনকী ঢাকাবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের ‘পুরোনো ঢাকার উৎসব ও ঘরবাড়ি’ বইটিতে ঢাকার উৎসব হিসেবে ঈদ, মুহররম, জন্মাষ্টমী, হোলি ও ঝুলনের উল্লেখ রয়েছে। এর অর্থ এই দাঁড়ায় দুর্গাপূজা বিংশ শতকের শুরুতেও ছিল পারিবারিক, অভিজাতদের মাঝে। অভিজাতদের বাইরে কেবল এর সার্বজনীনতা অর্থাৎ এখন যে ধরণের পূজা প্রচলিত, তা শুরু হতে গত শতকের তিরিশের দশক লেগে যায়। তবে সার্বজনীন পূজা ব্যাপক আকারে শুরু হয় ১৯৪৭-এর দেশ বিভাগের পর। তখন এককভাবে পূজা করাটা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে ওঠে। ফলে ব্রাক্ষ্মণ-অব্রাক্ষ্মণ নির্বিশেষে মিলেমিশে পূজা করার চল শুরু হয়। তবে এখনো পারিবারিক পূজার চল রয়ে গেছে পুরোনো ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। ৭১-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কিংবদন্তীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুরু হয় দেশের কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা।

প্রথমদিকে যেহেতু কেবল বাবুগিরি আর ইংরেজদের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখার জন্যই পালিত হতো এই উৎসব, সে কারণেই ধর্মীয়ভাবের চেয়ে সেখানে বেশি প্রাধান্য পেত আমোদ-প্রমোদ। কিন্তু বিত্তবান বাবুরা দুর্গোৎসবের যে জোয়ার আনতে চেষ্টা করেছিলেন তাতে পাঁক ও আবর্জনা ছিল বেশি। বাবুদের অর্থকৌলিন্য প্রকাশের পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদা লাভের উপায়ও ছিল এই উৎসব। কালীপ্রসন্ন সিংহের ‘হুতোম প্যাঁচার নক্সা’য় ঢাকায় দুর্গাপূজার বর্ণনায় এসেছে বাঈজি নাচ, খেমটা নাচ, কবিগান, কীর্তনের। পূজায় ইংরেজদের আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুত থাকত ব্র্যান্ডি, শেরি, শ্যাম্পেন। হাকিম হাবিবুর রহমানের ‘ঢাকা পচাস বারাস পেহলে’ বইতে উল্লেখ আছে যেকোন হিন্দু উৎসবে বাঈজি, খেমটা, সং আর গাঁজার আসর বসতই। আর নেশার চল এমনই ছিল যে, চুরুট তামাক ও চরসের ধোঁয়ায় প্রতিমাই ঢাকা পড়ে যেত। যাইহোক শারদ উৎসবের সূচনালগ্নে দাঁড়িয়ে আপাতত এই ইতিহাসের কচকচানি থাক। বরঞ্চ ২০০১ এবং ২০০৬ সালে আমার বাংলাদেশের কুমিল্লায় এবং ঢাকায় দেখা এই সার্বজনীন শারদ উৎসবের আলোচনাতেই লেখাটি সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করি।

১৯৯৯ সাল থেকে বারকয়েক বাংলাদেশ ভ্রমণ করার কারণে আমার ততো দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় এবং ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করা হয়ে গেছে। যেমন পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ, নজরুল জয়ন্তী, ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা ইত্যাদি। কিন্তু কখনো দূর্গাপূজা বা শারদীয়া উৎসব দেখার সুযোগ হয়নি। তাই ২০০১ সালে সুযোগ পেতেই শারদীয়া উৎসবের সময় চলে গেলাম বাংলাদেশ ভ্রমণে। অক্টোবরের ২০ তারিখ সকালে বেনাপোল বর্ডার পার করে কলকাতা-ঢাকা সরাসরি সৌহার্দ বাসে চেপে গিয়ে নামলাম কমলাপুরে বিআরটিসির বাস ডিপোয়। ২২ শে অক্টোবর সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অফিসার্স ক্লাবে যাই বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করতে।তিনি আমায় জানান যে, কুমিল্লা যাবেন অষ্টমীর দিন (অক্টোবর ২৪), একদিনের জন্য আমি তাঁর সাথে যেতে রাজি কি না? প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি রাজি হয়ে গেলাম। কারণ শৈশবকাল থেকে বাবার মুখে শুনেছি কুমিল্লা শহরকে বলা হয় ‘A City of Banks and Tanks’. কারণ অবিভক্ত বাংলায় এই শহরেই ছিল সর্বাধিক ব্যাংক যার অনেকগুলি পরবর্তী সময় স্বাধীন ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া শহরজুড়ে অসংখ্য জলাশয় স্থাপন করা হয়েছিল। যাই হোক, সেই গল্প আপাতত থাক, আমার চোখে কুমিল্লায় দেখা দূর্গাপুজার কথাই এখানে বলি।

কথামতো ২৪ অক্টোবর ভোরের ট্রেন ধরে আমরা দুজন কুমিল্লা শহরে গিয়ে উপস্থিত হলাম বেলা ১০টার দিকে। যেহেতু সেদিন অষ্টমী পুজা, তাই কুমিল্লা স্টেশন থেকে শহরে যাওয়ার পথে নজরে এলো অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা নতুন জামা কাপড় পরে শহরের পূজামণ্ডপ প্রদক্ষিণে বেরিয়েছে। যাইহোক, আমরাও আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে ব্যাগ রেখে চোখেমুখে একটু জল দিয়ে দুজন রওনা দিলাম কুমিল্লা শহরের রাজরাজেশ্বরী কালীবাড়ির দিকে। ওটাই নাকি শহরের সবচেয়ে বড় সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ। ওখানে পৌঁছানোর পর পরিবেশ দেখে সত্যি মনে হলো বাংলাদেশের এই শহরে দুর্গাপূজা কেবল মাত্র সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের নয়, এটি সার্বজনীন উৎসব হয়ে উঠেছে। দুপুরবেলা একটু বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় বের হলাম শহর ঘুরে দেখার জন্য এবং সাথে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপ দেখার জন্য। ঘড় থেকে বড় রাস্তায় আসতেই চোখে পড়লো, শহরের রাস্তায় রাস্তায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আলোর রোশনাই। আমরা একে একে গেলাম ঈশ্বর পাঠশালা, কাত্যায়নী কালীবাড়ি, কান্দীরপাড়, রানীর বাজার, মনোহরপুর, বাগিচাগাও, চকবাজার, পানপট্টি, মহেশ ভট্টাচার্যের বাড়ি এবং বেশ কিছু পারিবারিক পূজা দেখলাম। প্রতিটি মণ্ডপেই চোখে পড়ল ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষ ভিড় জমিয়েছে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে। যদিও সেবছর আমার ঢাকার দুর্গাপূজা দেখা হয়নি।

২০০৬ সালে হঠাৎ করেই আবার এই শারদ উৎসবের সময় বাংলাদেশে যাওয়ার সুযোগ এসে গেল। আমি এবং পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ এবং বিজ্ঞান আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারি অধ্যাপক শরদিন্দু শেখর রায় মিলে ষষ্ঠীর দিন সকালে বিমান ধরে ঢাকায় হাজির হলাম। আমাদের দুজনের পরিকল্পনা ছিল এবারে দেখব ঠিক কেমনভাবে দুর্গাপূজা উদযাপন হয় ঢাকা শহরে। যেহেতু আমাদের দুজনের অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে, তাই আমরা সপ্তমীর দিন প্রথমে গিয়ে হাজির হলাম জগন্নাথ হলের দুর্গা মণ্ডপে। এখানে গিয়ে জানতে পারলাম- এই পূজার সূচনা ১৯৭৭ সালে, এবং এখানকার মূর্তি ও পূজামণ্ডপ কোনো কুমোর এবং ডেকরেটার দিয়ে করানো হয় না। দুটি কাজই সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্ররা। যদিও তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটির সময়, তাও দেখা গেলো প্রচুর ছাত্র এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ভিড় করে রয়েছেন, যেখানে কোনো ধর্মের ছোঁয়া নেই; হিন্দু মুসলমান সবাই একসাথে মজে রয়েছেন শারদীয়া আড্ডায়। এখানে দেখা গেলো ছাত্ররা রীতিমত হিমসিম খাচ্ছে দর্শকদের সামলাতে। মাঝেমাঝেই ঠিক কলকাতার বড় বড় পূজাগুলোর মতো মাইকে ঘোষণা করতে হচ্ছে- দয়া করে আপনারা অযথা মণ্ডপের সামনে ভিড় করবেন না, অন্যকেও প্রতিমা দেখার সুযোগ করে দিন। আমাদের এর পরের গন্তব্য ছিল রমনা কালীবাড়ির পূজা। সেখানে গিয়ে দেখি রাস্তা থেকেই এক লম্বা লাইন মণ্ডপে যাওয়ার জন্য। এটিও ঢাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজা।

দ্বিতীয় দিন আমরা প্রথমেই গেলাম ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজা দেখতে। পৌঁছানোর পর দর্শনার্থীদের লাইন দেখে মনে হলো, ঠিক জেনো কলকাতার সুরুচি বা বাবুবাগানের রাস্তা। এরপর আমরা চলে যাই পুরোনো ঢাকার দুর্গা পূজার জাঁকজমক দেখবার জন্য। শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর এলাকায় দেখতে পাই অগুন্তি ছোট এবং বড় সার্বজনীন দুর্গা মণ্ডপ; অনেকটা কলকাতার চেহারা, কয়েক হাত দূরে দূরে এক একটি মণ্ডপ।

তৃতীয় দিন আমরা বিকেল সাড়ে ৫ টায় খামারবাড়ি পূজা দেখতে গেলাম। ফার্মগেট মোড় থেকে একটু আগে ভিড়টা ক্রমশ চওড়া হতে শুরু করল। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে এমন ভিড় স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়ার আগেই বুঝলাম, খামারবাড়ির অনেক আগেই 'বাঁধ' দেয়া হয়েছে। আসলে সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের প্যাণ্ডেলমুখী জনতা সামলাতে বাঁশের ব্যারিকেড। অনেকটা পুরীর মন্দিরে ঢোকার মুখে যেমন আঁকাবাঁকা পথ পেরোতে হয় তেমন, ঠিক যেমন কলকাতার বিভিন্ন বড় মাপের দুর্গাপূজা প্যান্ডেলে করা হয়। আমাদের এর পরের গন্তব্য ছিল কলাবাগান এবং ধানমন্ডি।  কলাবাগান মাঠে ঢুকে আমরা কলকাতার ম্যাডক্স স্কোয়ারের মিল খুঁজে পেলাম। এখানে ঠাকুর দেখা আছে, গোল করে মাঠে বসে আড্ডা আছে, আছে গানের জলসাও। এখানে উপচে পড়া ভিড় দেখলে কলকাতা কিংবা সল্টলেকের যে কোনো পূজা কমিটির চোখের কোণায় ভাঁজ পড়বেই।

ঢাকা কিংবা কুমিল্লার পূজা দেখে আমার যেটা মনে হয়েছে বাংলাদেশের দুর্গাপূজা সকলের কাছে সার্বজনীন হয়ে উঠেছে। দুর্গাপূজার মণ্ডপ ঘিরে আলোর রোশনাই এবং প্রায় প্রতিটি দুর্গাপূজা মণ্ডপ প্রাঙ্গণে মেলার আয়োজন, যেখানে রকমারি দোকানের সঙ্গে রয়েছে নাগরদোলা, যেটি যে কোনো মেলার প্রাথমিক অনুষঙ্গ, আর প্রবেশ পথেই থাকে বেশ কিছু গজা, মুরালি, সন্দেশের মত মিষ্টান্নের দোকান। জেমস ওয়াইজ তার ‘নোটস অন দ্য রেইজ কাটস এন্ড ট্রেড অব ইস্টার্ন বেঙ্গল’ বইয়ে উল্লেখ করেছেন, হিন্দু জমিদাররা যেমন মুহররম পালনে অর্থ সাহায্য করে থাকেন, মুসলমান জমিদাররাও তেমনি সাহায্য করেন দুর্গা পূজার। এই ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এখনো মুসলমানরা পূজায় অর্থ সাহায্য করেন। পুরোনো ঢাকার শাঁখারী বাজারের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড় পূজা মণ্ডপ 'প্রতিদ্বন্দ্বী'র সভাপতি জানান বহুবছর যাবত আমাদের এখানে সার্বিক আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন আব্দুল খালেক নামের একজন। তাই হয়তো আজ বাংলাদেশের দুর্গাপূজা ধর্মীয় রীতি ছাপিয়ে এক অন্যতম মিলনোৎসবে রূপ নিয়েছে। শুধু চোখ আটকাবে মাথার ওপরে হেলিকপ্টারের ঘন ঘন চক্কর আর পুলিশের নজরদারি। কলকাতার মতো রাস্তায় নয়, পূজা প্যান্ডেলের চৌকাঠে।

সর্বশেষে তাই বলতে হয় ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’

লেখক : সন্দীপন ধর

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা