• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

অসময়ের ভাঙনে নিঃস্ব তিস্তা পাড়ের ১২০ পরিবার

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় তিস্তা নদীর অকাল ভাঙনে বিধ্বস্ত নবনির্মিত ডান তীর বাঁধ। ঘরবাড়ি জমি হারিয়ে ইতোমধ্যে নিঃস্ব হয়েছে ১২০টি পরিবার। তীব্র ভাঙনে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের শঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষ। সপ্তাহখানেক আগে প্রথমে বাঁধের ৩০০ মিটার ধসে পড়ে। তারপর ভাঙন ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর ১৬৮ কোটি টাকায় গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালিতে তিস্তার ডানতীর বাঁধ সংস্কার ও নির্মাণের কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নানা বিড়ম্বনা আর শঙ্কায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গত দুই সপ্তাহে বাড়িঘর, ফসলি জমি হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে ১২০টি পরিবার। রংপুর গঙ্গাচড়ার নোহালির ইউপি সদস্য ইলিয়াস আলী বলেন, এই ভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে তিস্তার পানি বাড়লে এর পাড়ের ৪ হাজার পরিবারের অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।

নোহালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, নোহলি ইউনিয়নের কচুয়া মৌজাসহ ঘাঘটের নদী ভাঙনের আশঙ্কা আছে। ঘাঘটে পড়লে রংপুর শহর হুমকির সম্মুখীন হবে। তীব্র ভাঙনের পাশাপাশি প্রবাহিত ঘাঘট নদীর সঙ্গে এ নদী মিলিত হওয়ার উপক্রম হওয়ায় রংপুর ক্যান্টনমেন্টসহ পুরো রংপুর নগরী নিয়ে শঙ্কায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

উত্তরাঞ্চল পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ বলেন, বর্ষার সময় পানি ঘাঘট নদী দিয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ওই সময়ে পানির লেভেল বাড়বে। সেই পানি আবার রংপুর সিটি করপোরেশনের ভেতর দিয়ে যাবে যেখানে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও সিটি করপোরেশন এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেছে।

এদিকে বিনবিনার চর এলাকায় যে স্থান দিয়ে গত বছর তিস্তা গতি পরিবর্তন করে প্রবাহিত হয়েছিল, মূল নদীতে চর জেগে ওঠায় সেখানেই আবার আঘাত হানছে পানি। ফলে শেখ হাসিনা সেতুসহ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ঝুঁকির মুখে।
 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা