• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

অনেক কঠিন রোগ থেকেও মানুষের মুক্তি হয় : ফেরদৌস

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ফেরদৌস। চিত্রনায়ক। সম্প্রতি নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের 'গাঙচিল' ছবির কাজ শুরু করেছেন। এ ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে- 

বিরতির পর 'গাঙচিল' ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এক কথায় বেশ ভালো। গত সপ্তাহে নোয়াখালীতে ছবির দৃশ্যধারণে অংশ নিয়েছি। চেয়ারম্যানের ক্ষমতার লড়াইয়ে দৃশ্যগুলো বেশ সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন নির্মাতা। ওখানকার মানুষের জীবনের নানা বিষয় 'গাঙচিল' ছবিতে উঠে আসবে। এতে আমার অভিনীত 'সাগর' চরিত্র একজন সাংবাদিকের। অসহায় মানুষদের পুঁজি করে ক্ষমতার লড়াইয়ের বিরুদ্ধে সে প্রতিবাদ করে। সব মিলিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো ছিল। 

'সেভ লাইফ'-এর 'জয়নাল' চরিত্র কতটা চ্যালেঞ্জিং...

যারা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে আমাদের জীবন বাঁচায় তাদের জীবনের গল্প আমরা কতটা জানি? এ ছবিতে কাজ করে ফায়ার ব্রিগেড কর্মীদের জীবনকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। এটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। পেশাদারি জীবন ভিত্তিক ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ বেশি থাকে। ছবিতে ফায়ার ব্রিগেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। সম্প্রতি গুলিস্তানের ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স হেড কোয়াটার্সে এর শুটিং হয়েছে। এই চরিত্রটি করতে প্রথমে একটু চিন্তিত ছিলাম। এটাকে ধারণ করতে পারব কি-না তা নিয়ে ছিল সংশয়। দু'চার দিন শুটিং করার পর ফায়ার ব্রিগেড কর্মীদের সঙ্গে নিজেকে একাত্ম করে নিয়েছিলাম। চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কেমন করেছি ছবি মুক্তির পর দর্শক ভালো বলতে পারবেন।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের 'জ্যাম' ছবির কাজ প্রায় শেষ। আরিফুর জামানের 'কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র'র কাজ কিছুটা বাকি। আর 'চট্টলা এক্সপ্রেস-এর কাজ আগামী অক্টোবরে শুরু হবে। এ ছাড়া নতুন কয়েকটি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। 

এই সময়ে ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবনা কেমন?

অনেক ধরনের ছবিতে কাজ করেছি। এখন বুঝেশুনে অভিনয় করতে চাই। এমন কাজ করতে চাই যেটা আগামী প্রজন্মও মনে রাখে। অনেক পেয়েছি। তাতেই আমি খুশি। ক্যারিয়ারে কিছু ভুল হয়তো ছিল। সেগুলো তখন ভুল মনে হয়নি। এখন মনে হচ্ছে। নামিদামি ও নবীন নির্মাতাদের সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। তাদের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখেছি। এগুলোই চলার পথের পাথেয়। 

চলচ্চিত্র শিল্পের বর্তমান অবস্থা কেমন?

কিছুটা রুগ্ন। যখন কেউ রুগ্‌ণ হয় আমরা তাকে সেবা দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করি। রুগ্‌ণতা মানে তো শেষ হয়ে যাওয়া নয়। অনেক কঠিন রোগ থেকেও মানুষের মুক্তি হয়। আমার মনে হয় চলচ্চিত্র ঘুরে দাঁড়াবে। আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে সব শিল্পকলা একাডেমিতে একটি করে সিনেপ্লেক্স হবে। এর কার্যক্রম অনেকটা এগিয়েছে। এটা হলে চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরবে বলে আমি মনে করি। 

কলকাতার ছবির কী অবস্থা?

ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় কিছু ছবির কাজ ঝুলে আছে। 'দত্তা', 'ছেড়ে যাস না', 'সাঁঝের জোনাকি'সহ কয়েকটি ছবির কাজ বাকি রয়েছে। ছবির নির্মাতাদের বলেছি আমাকে ছাড়া কাজ শেষ করতে। কিন্তু তারা রাজি হননি। অনেকে বাংলাদেশে এসেও শুটিং করার চিন্তাভাবনা করছেন। অপেক্ষা করছি ভিসা জটিলতা অবসানের। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা