• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

অদূর ভবিষ্যতে খুলনায় ক্রিকেট ফিরবে : শেখ সোহেল

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৮  



বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শেখ সোহেল বলেছেন, বিমান বন্দর ও আন্তর্জাতিক মানের হোটেল না থাকায় খুলনাতে ক্রিকেটের কোনও ম্যাচ করতে পারছি না, এজন্য বড় কষ্ট লাগে। আমার কাছে খুলনাবাসীর প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু যশোর-খুলনা রাস্তা খারাপ থাকা, একই সঙ্গে যশোর থেকে খুলনা আসতে সড়ক পথে দুই ঘন্টার বেশি সময় লাগায় ম্যাচ ও ভেন্যু যারা ঠিক করে তারা এখানে আসতে চায় না। বিমান থেকে নামার পরে ম্যাচে অংশ গ্রহণকারী খেলোয়াড়, কোচ বা কর্মকর্তারা কেউই বিশ থেকে ত্রিশ মিনিটের বেশি রাস্তায় থাকতে চায় না। এর বাইরে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তারও ব্যাপার আছে। তবে, অদূর ভবিষ্যতে যাতে খুলনাতে ক্রিকেট ভেন্যু করা যায় সেই ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। সম্প্রতি এই প্রতিবেদকের সঙ্গে গুলশান অফিসে আলাপকালে শেখ সোহেল ক্রিকেট, রাজনীতি, খুলনার উন্নয়ন, খুলনা আওয়ামী লীগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। 
শেখ সোহেল। বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র। বঙ্গবন্ধুর আপন ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের পাঁচ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে তার অবস্থান তৃতীয়। বড় ভাই শেখ হেলাল বাগেরহাট থেকে নির্বাচিত এমপি। শেখ হেলাল খুলনার রাজনীতিতে প্রকৃত অর্থেই একজন অভিভাবক হিসেবে রয়েছেন। মেঝ ভাই শেখ জুয়েল এবার খুলনা সদর থেকে এমপি নির্বাচন করবেন। ছোট ভাই বাবু ও রুবেল নিজ নিজ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত।
স্ত্রী শিরিন জারা ও দুই মেয়ে নিয়ে ব্যক্তি জীবনে শেখ সোহেল একজন সুখী মানুষ। মিডিয়া বান্ধব অথচ প্রচার বিমুখ শেখ সোহেল খুলনা তথা ছাত্র, যুব, আবাল বৃদ্ধ বনিতা, ধনী, গরীবের কাছে অতি পরিচিত একটি নাম। সদালাপী, হাসি খুশি, আলাপ ব্যবহারে প্রচন্ড বিনয়ী শেখ সোহেল পরিশ্রমী একজন মানুষ। খুলনা নৌ-পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি শেখ সোহেলের কাছে বিপদগ্রস্ত কোনও মানুষ গিয়ে কিছু না পেয়ে ফিরে এসেছেন এমন নজির নেই। সবার কথাই শোনেন তিনি, মন দিয়ে শোনেন। মানুষকে প্রচন্ড সম্মান করেন, খাওয়াতে পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতো ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এতটুকু অহঙ্কার নেই তার মধ্যে। বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে সময় পেলেই আড্ডাতে মেতে উঠেন। ছোট বেলার সব বন্ধু বান্ধব আজও তার সঙ্গে ছায়ার মতোই আছে। কাউকেই সোহেল ভুলে যাননি, তেমনি তিনিও কাউকেই ফেলে দেননি। গেল কেসিসি নির্বাচনে শেখ সোহেল নিরবে কাজ করেছেন, নেতা-কর্মীদের কাছে সোহেল সব সময়েই ছিলেন অনুপ্রেরণা হয়ে।  
পারিবারিকভাবে রাজনীতির মধ্য দিয়ে বড় হয়ে উঠা শেখ সোহেল অকপটে স্বীকার করেছেন, সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, প্রয়াত এমপি সুজা, খুলনা সদরের এমপি আলহাজ্ব মিজান, চেম্বার সভাপতি কাজি আমিনের সঙ্গে তার ও পরিবারের সম্পর্কের কথা। সোহেল বলেছেন, বাবা মারা যাবার পরে খুলনাতে এসব নেতাদের কাছেই আদর স্নেহ, ভালোবাসা পেয়ে মানুষ হয়েছি। এরাই আমার, আমাদের অভিভাবক। সমাজসেবী শেখ সোহেল জানান, খালেক ভাই বা মিজান ভাইয়ের মতো পরিশ্রমী নেতার কোনও বিকল্প নেই। এমন ফুল টাইমার রাজনীতিক পেয়ে খুলনা আওয়ামী লীগ ধন্য। খুলনার নেতা-কর্মীরাই আমার আত্মার আত্মীয়। আলাপ কালে শেখ সোহেল জানান, আগামীতে খুলনা উন্নয়নে আরও ভূমিকা তার পরিবার থেকে নেয়া হবে। খুলনার ব্যাপক উন্নয়ন করা হবে। শেখ সোহেল শেরে বাংলা রোডের বলাকা ক্লাবকে এতিম খানা বানিয়েছেন, খুলনার অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাকে নিরবে সহযোগিতা করে চলেছেন। খুলনা যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা