• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

অটোমেটিক ড্রেন ক্লিনিং সিস্টেম উদ্ভাবন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯  

অটোমেটিক ড্রেন ক্লিনিং সিস্টেম। যার মাধ্যমে কোনো শ্রমিক ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে নর্দমার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা যাবে। প্রজেক্টটি আরো বেশী আপডেট করলে সমুদ্র ও নদী-নালার আবর্জনাও পরিষ্কার করা যাবে। হুমকির মুখে পতিত প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের একটি প্রজেক্ট তৈরি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

তারা হলেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টারের এএসএম রবিউল আলম সিদ্দিকী, জাফরিয়ান ইকবাল শুভ এবং আজম ফারুক রাজু। আর তাদের মেন্টর হিসেবে ছিলেন একই বিভাগের প্রভাষক নুরুজ্জামান সাকিব, প্রভাষক প্রমি নাফিজা আনজুম, প্রভাষক মো. মাহমুদ-অর-রশিদ।

প্রজেক্ট সম্পর্কে রবিউল আলম বলেন, প্রজেক্ট স্টার্ট দেয়ার পর অটোমেটিক চলতে থাকবে। এটা মাইনলি ওয়াল সেন্সর রোবট। একটা পাম্প থাকবে যেটা পানি টেনে নিবে ফলে আবর্জনা সামনে চলে আসবে এবং নেটের মাধ্যমে সেটা তুলে নিয়ে একটা বক্সের মধ্যে রাখবে। বাক্স পুরা হয়ে গেলে অটোমেটিক পিছনে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলে আবার সামনে আগাবে। তাছাড়াও ময়লার স্তূপ কাটার জন্য সামনে কাটার থাকবে।

জাফরিন ইকবাল শুভ বলেন, প্রজেক্টটি তৈরি করতে প্রায় ১৩০০০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। যার সবুটুকুই আমাদের টিউশনির টাকা থেকে বহন করতে হয়েছে। শুধুমাত্র নর্দমা পরিষ্কার করার জন্য প্রজেক্টটিকে ব্যবহার করতে চাইলে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। আর সমুদ্রের আবর্জনা পরিষ্কারের উপযোগী করতে চাইলে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। প্রজেক্টটি ব্যবহারযোগ্য করে যাতে আমরা দেশের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারি এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

আজম ফারুক রাজু বলেন, প্রজেক্ট তৈরীতে আমরা যেসব সমস্যায় পড়েছি তার মধ্যে অন্যতম ল্যাব সুবিধার স্বল্পতা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো আমাদের পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধার ব্যবস্থা করতে।

মেন্টর প্রভাষক নুরুজ্জামান সাকিব বলেন, এখন সাধারণত ড্রেন পরিষ্কারের জন্য রাস্তা খুঁড়ে অনেক শ্রমিক নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা হয়। যার ফলে আশপাশের পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হয় এবং মানুষের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু এই প্রজেক্টের মাধ্যমে অতি সহজে কোন দুর্ভোগ ছাড়াই ড্রেন পরিষ্কার করা যাবে। এতে আর্থিক অনেক সঞ্চয় হবে। আর তাছাড়া, এটার মাধ্যমে কঠিন বর্জ্যগুলো আলাদা করে নির্দিষ্ট স্থানে স্তূপ করা যাবে। সেখান থেকে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যগুলো রি-সাইকেল করে অন্য কোন দ্রব্যও তৈরি করা যেতে পারে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা