অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমুখীকরণ ও লাভজনক করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমুখীকরণে এবং কৃষিকে আরো লাভজনক করতে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশের সব মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য এবং পুষ্টির যোগান দিতে সমন্বিত চাষ বাড়াতে আরো আন্তরিক হতে হবে। পাশাপাশি কৃষকদের কাছে গিয়ে কর্মকর্তাদের কথা শুনতে হবে।

শনিবার চট্টগ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষির উৎপাদন আরো বাড়াতে ৭২৫ কিলোমিটার খাল খনন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষিকে আধুনিকীকরণ ও বহুমাত্রিক  করতে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের সুফল প্রান্তিক কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষি শুধু মানুষের খাদ্যের যোগানই দেয়া না, শিল্পের কাঁচামালেরও অন্যতম উৎস। তাই কৃষিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় কৃষিকে অন্যতম সহায়ক খাত হিসেবেও উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।

সভায় কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যেখানে যে ফসল ভালো হয়, তার ওপর জোর দিতে হবে। কৃষকের আয় বাড়াতে কৃষিপণ্যের প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ বাড়াতে হবে। কৃষককে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট ফসলের ভবিষ্যৎ চাহিদা বোঝাতে হবে, তবেই কৃষি উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সম্প্রারণ উইংয়ের সরেজমিন পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম, হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক মো. ওয়াহদিুজ্জামান, অতিরিক্তি পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদা, রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক পবন কুমার চাকমা বক্তৃতা করেন।