নামাজে মনোযোগী হবেন যেভাবে
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২১
একদিন উসমান বিন আবি আল-আস রাদিয়াল্লাহু আনহু নামে এক সাহাবা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন। তিনি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কাছে একটি অভিযোগ উপস্থাপন করলেন। নবী করিম (সাঃ) কাছে সাহাবা বললেন, "শয়তান আমার ও আমার সালাতের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে এবং আমার তেলাওয়াতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।" সাহাবার এ অভিযোগ শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, "এটি খানযাব নামক শয়তান, সুতরাং যদি আপনি তার উপস্থিতি অনুভব করেন, তবে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করুন এবং আপনার বাম দিকে তিনবার থুতু দিন।"
এরপর উসমান বিন আবি আল-আস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন, "আমি এই উপদেশটি প্রয়োগ করেছি এবং আল্লাহ আমাকে তার হাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন।" (মুসলিম ৪/১৭২৯, ২২০৩) এই হাদিসে নামাজের শয়তান থেকে মুক্তি্ পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে। প্রথমটি শয়তানের কুফল থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা অর্থাৎ আউযুবিল্লাহ হিমিনাশ শাইত্বনির রজীম পাঠ করা। দ্বিতীয়টি হলো তিনবার বাম দিকে থুতু দেওয়া। তবে এই থুতু বলতে অনেকটা ফু দেওয়ার মতোই বাতাস প্রবাহিত করাকে বোঝায়। যেখানে কোনো লালা থাকে না। এবং যা পাশের ব্যক্তিকে বিরক্ত করে না এবং নামাজের স্থান বা মসজিদকে নোংরা করবে না।
নামাজ পড়তে গিয়ে অনেকেরই মনোযোগে ব্যাঘাত হয়। নামাজে অমনোযোগী হওয়ার বাস্তবসম্মত আরো কিছু কারণ রয়েছে। যা হলো-
নামাজকে কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান মনে করা
কিছু মুখস্ত সুরা, দোয়া, মন্ত্রের মতো পাঠ করে রুকু সিজদাহ করা। এভাবে নামাজ শেষ করা। নামাজের সঙ্গে অন্তরের যোগসাজশ উপলব্ধি না হওয়া।
নামাজকে যথাযথ মূল্যায়ন না করা
দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতার একমাত্র উপায় হচ্ছে নামাজ। কিন্তু এই নামাজকে দৈনন্দিন আর কাজের মতো দেখার কারণে নামাজে মনযোগ থাকে না।
পাপ কাজে ডুবে থাকা
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আধুনিক যুগে অনেকেই প্রকাশ্যে বা গোপনে নিয়মিত পাপ কাজে ডুবে থাকেন। আবার এদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। ফলে নামাজের মধ্যেই জাগতিক নানা পাপ কাজ মনে চলে আসাটা স্বাভাবিক।
অর্থ না বুঝে তেলাওয়াত করা
নামাজে পড়া সব সুরা ও দোয়া যেহেতু আরবি ভাষায় তাই এদের অর্থ আমরা বুঝি না। অর্থ না বোঝার কারণে মুখস্ত সুরাগুলো তেলাওয়াত ঠিকই হয়ে যায় কিন্তু অলস অন্তর দুনিয়ার নানা চিন্তায় হারিয়ে যায়। যদি সুরা ও দোয়াসমুহের অর্থ জানা থাকতো তাহলে অন্তর সেটা নিয়ে ভাবতো।
দুনিয়ার জীবনকে বেশি মূল্যায়ন করা
নামাজের ওয়াক্তে নামাজকে ভুলে দুনিয়ার নানা কাজ কর্মকে প্রাধান্য দেওয়ায় নামাজের প্রতি অবহেলা দেখা দেয়। বিশেষ করে অনেকেই উপার্জনের জন্য ইসলামের বিধিবিধানকে একেবারেই আমলে আনে না।
নামাজের হুকুম আহকামের প্রতি উদাসীনতা
রাসূলে কারীম (সা.) নামাজ পড়ার সুনির্দিষ্ট নিয়ম দেখিয়েছেন। অথচ নবী করিম (সাঃ) এর দেখানো নিয়ম অনুযায়ী নামাজ আদায়ে সতর্ক না হওয়া নামাজে অমনযোগীতার অন্যতম কারণ।
নিয়মিত কোরআন-হাদীস পাঠ না করা
নিয়মিত কোরআন-হাদিস পাঠ, আল্লাহর জিকির ইত্যাদি ঈমান মজবুত করে। এ সব থেকে বিরত থাকলে ঈমান দুর্বল হয় রবং শয়তান সহজেই বান্দাকে পাপ কাজের দিকে ধাবিত করতে পারে।
এবার জেনে নেওয়া যাক নামাজের সঙ্গে অন্তরের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং নামাজে মনোযোগী হওয়ার কিছু উপায়-
১) নামাজে যে সূরাগুলো পড়া হয় এবং রুকু, সিজদাহ ও বসা অবস্থায় তাসবীহ ও দোয়াগুলোর অর্থ জেনে বুঝে পড়া।
২) তাকবীরে তাহরিমা তথা আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধার আগে চিন্তা করা আমি কার সামনে দাঁড়াচ্ছি। যার সামনে দাঁড়াচ্ছি তিনি কতো বড়, কতো মহান। তিনি সমগ্র সৃষ্টিজগতের মালিক, আমাদের খাদ্য বস্ত্র, জীবন সবকিছু দিয়েছেন। আমার ইহকাল পরকালের মুক্তি একমাত্র যার ইচ্ছায় হবে তাঁর সামনে দাঁড়ালে আমার আচরণ কেমন হওয়া দরকার?
৩) ভক্তি সহকারে রুকু সিজদাহ্ তাসবিহ আদায় করা।
৪) হাদিসে এসেছে, বান্দা যখন সিজদাহ অবস্থায় থাকে তখন সে মহান আল্লাহর খুব নিকটবর্তী হয়ে যায়। কাজেই অনুগ্রহ পাওয়ার আশায় সিজদাহের সময় দেহের সবচেয়ে সম্মানের অঙ্গ মাথাকে আল্লাহর কুদরতি পায়ে ঠেকিয়ে দিয়ে আল্লাহর সম্মান মর্যাদা ঘোষণা করা।
৫) নামাজ শুধুমাত্র আল্লাহ নির্দেশে ওনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। সুতরাং লোক দেখানোর চিন্তা মাথায় আসার সাথে সাথেই ঝেড়ে ফেলা, শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই নামাজকে সুন্দর করার চেষ্টা করা। হাশরের ময়দানে এই নামাজের প্রতিদানের আশা করা, সাথে সাথে নিজের গুনাহ ও দুর্বলতার কারণে নামাজ অগ্রাহ্য হওয়ার আশঙ্কাও মনে রাখা।
৬) নামাজের মধ্যে নড়াচড়া করা, গা চুলকানো, মশা তাড়ানো, টুপি জামা ঠিক করা ইত্যাদি অযথা কাজ পরিহার করে ধীর স্থিরতার সঙ্গে নামাজ আদায় করা।
৭) মনে মনে চিন্তা করা যে আমি পুলসিরাতের উপর দাঁড়িয়ে আছি, আমার ডানে জান্নাত, বামে জাহান্নাম, মাথার উপর গুনাহের বোঝা, পেছনে মালাকুল মাউত জান কবজের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। মনে করা যে এটিই আমার জীবনের শেষ সালাত, এরপর হয়তো আমার আর সালাত আদায়ের সুযোগ হবে না।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে মনোযোগী হয়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহী নিহত
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা: খুবি উপকেন্দ্রে ৮৮৮৬ পরীক্ষার্থী
- খুলনা যুবলীগ সভাপতির ছাতা পেয়ে নৌকার মাঝিরা খুশি
- খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ
- ১৪৩তম খুলনা দিবস পালিত
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- আমার শরীর সুন্দর, তাই তারা পিছু ছাড়ে না : নোরা ফাতেহি
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- নিজেকে এখন প্রাণভরে দেখি : পরীমণি
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?