• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

করোনা প্রতিরোধ : সমালোচনা নয়, সহযোগীতাই কর্তব্য

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২০  

দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় আমাদের সম্মিলিতভাবে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে একে প্রতিরোধ করাই এখন নাগরিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে । এ মুহুর্তে সরকারের সমালোচনা না করে বরং রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের কর্তব্য করোনা প্রতিরোধে সব ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগীতা করা। তবে দুঃখজনক হলেও সত্যি দেশের এমন সংকট মুহুর্তে একটি রাজনৈতিক পক্ষ সরকারের দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করার অহেতুক চেষ্টা করে যাচ্ছে। 

তবে এসব উপেক্ষা করে সরকার সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে রোগ শনাক্তকরণ কিট, ল্যাবরেটরি, মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ও অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের যেন সংকট না হয়, সেদিকে তৎপর রয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রধান করে ৩১ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য কমিটি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে কুয়েতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

যদিও এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশই ঝুঁকিমুক্ত নয় বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানাম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। প্রতিরক্ষা, বিদেশ, অর্থ, বাণিজ্য, পরিবহন, তথ্য প্রভৃতি মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজে নামতে হবে। জাতিসংঘের সদস্য দেশের সরকারগুলোর উদ্দেশে টেড্রোস আধানাম বলেন, 'রোগ শনাক্তের সক্ষমতা বৃদ্ধি করুন। হাসপাতাল প্রস্তুত রাখুন। অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করুন।' তিনি বলেন, আমরা সবাই যে পর্যায়ের হুমকির মধ্যে আছি, কিছু দেশের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ও কাজকর্ম তার সঙ্গে খাপ খায় না। গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নতুন এ ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকারিভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলো হলো- জেলা উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে পৃথক বেড রাখা হয়েছে। করোনার লক্ষণ দেখা দিলে হট লাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য নির্ধারিত নম্বর দেয়া হয়েছে। 
স্কুল কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ করা হয়েছে।জনপ্রতিনিধিদের অফিসিয়ালি চিঠি দিয়ে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। 

চাল, ডালসহ নিত্যপন্যের বাজার স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকরা ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা এবং কেউ যেন নিত্যপন্যের বাড়তি দাম আদায় করতে না পারে সে লক্ষ্যে বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

জেলা-উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তৎপর রাখা হয়েছে। 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের মনিটরিং, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্কুল ও কোচিং বন্ধ রাখা এবং বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার নিমিত্ত প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টাস্কফোর্স টিম অভিযান পরিচালনা করছে। 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা