• সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৫ ১৪৩১

  • || ০৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের খুলনা

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এখন মরণ ফাঁদ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩১ আগস্ট ২০২৪  

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে জিরোপয়েন্ট থেকে আঠারো মাইলের সুভাসিনী বাজার পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার রাস্তার বেশ কয়েকটি স্থানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে উঠেছে নানা অভিযোগ। মাত্র সাড়ে ৪ বছর আগে ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ হয়। মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজ সম্পন্ন করেন। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়েছে দ্বিগুণ। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বিটুমিন উঠে অনেক স্থানে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবারও বিআরটিসি বাসসহ একাধিক পরিবহন দুঘর্টনার কবলে পড়ে।
অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে ৬ কিঃ মিঃ সড়কে কাজের জন্য টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া জিরোপয়েন্ট থেকে কিছু অংশে ঢালাই কাজ করার জন্যও টেন্ডার হয়েছে।

সূত্রমতে, খুলনা অংশের কাজ শেষ হয় ২০২০ সালে এবং ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার দায়ভার শেষ হয় ২০২৩ সালে। প্রকল্পের প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয় তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী তাপসী দাসের সময়ে। তিনি এখন গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিল পরিশোধ করেন। 

খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্বে) মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন অতিভারী যানবাহন চলার কারণে সড়কের কিছু কিছু অংশে বৃষ্টিতে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে দ্রুত সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা চলছে।’ 

খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে খুলনা জোনের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আনিছুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘২০২২ সালের ২৫শে জুন পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর খুলনা-চুকনগর সাতক্ষীরা সড়কে যানবাহনের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। তাছাড়া সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের ভারি যানবাহন চলাচলও বেড়ে গেছে। এসব কারণে সড়কের তিনটি স্থান জিরেপয়েন্ট থেকে নিজখামার, গুটুদিয়া এবং চুকনগর এলাকা মিলে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছর ১৯ মে ৩০ কোটি টাকার একটি টেন্ডার হয়েছে। এর মাধ্যমে দু’টি বাঁক সরলীকরণসহ শক্ত ঢালাইয়ের কাজ করা হবে। ফলে কাজটি শেষ হলে যান চলাচলে আর ভোগান্তি থাকবে না।’  

আজকের খুলনা