• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সবজি নিয়ে বিপাকে ১০ হাজার চাষি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২০  

চোখ যেদিকে যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। মাঠে মাঠে দুল খাচ্ছে সবজি আর সবজি। এনিয়ে কৃষকের চোখে যখন রঙিন স্বপ্ন ঠিক তখনই সর্বনাশী করোনার আঘাত। তাতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ১০ হাজারের অধিক সবজি চাষির স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। করোনার ভয়াল থাবায় হাটবাজারগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাষিরা সবজি নিয়ে পড়েছে চরম বিপাকে। শ্রমিকের মুজুরি, সার, কীটনাশক, বীজ ও কৃষি উপকরণসহ সবমিলিয়ে যে পরিমাণ উৎপাদন খরচ হয়েছে, সে অনুযায়ী দাম না পাওয়ায় উৎপাদন খরচও উঠাতে পারছেন না চাষিরা। অসহায় চাষিরা মাঠের দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যতে পরিবার-পরিজনদের খাওয়া-পড়ার জোগানের চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছেন।

কৃষক ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে পাকুন্দিয়া উপজেলায় তিন হাজার একশ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়েছে। এতে কৃষকের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক। সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ১৮ হাজার মেট্রিক টন।

সুখিয়া গ্রামের মো.মামুন মিয়া নামের একজন বেগুন চাষির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ভাই আমি ৮৫ শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছি। শ্রমিক ও বীজবপণসহ সবমিলিয়ে আমার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। ক্ষেতে বেগুনও ধরেছে প্রচুর। শনিবার সকালে তারাকান্দি বাজারে ১২মণ বেগুন নিয়ে সবমিলিয়ে মোট ৯৩০ টাকা বিক্রি করি। ক্ষেত থেকে বেগুন বাজার পর্যন্ত নিতে আমার খরচ হয়েছে ১১০০ টাকা। এর মধ্যে দুইজন দিনমজুরকে ৮০০ টাকা এবং একটি অটোরিকশাকে ৩০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে। ১৭০টাকা পকেট থেকে গচ্চা দিতে হয়েছে। 

কৃষক আবু শাহিদ, আজিজুল হক ও মানিক মিয়াসহ কয়েকজন জানান, করোনার কারণে হাট-বাজারগুলো সীমিত আকারে খোলা থাকায় বাইরের পাইকাররা আসতে পারছেন না। তাই সবজি বিক্রি করা যাচ্ছে না। 

পাকুন্দিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.সাইফুল হাসান আলামিন বলেন, করোনার প্রভাবে স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে বাইরের পাইকাররা আসতে না পারায় কৃষকরা সবজির ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। ফলে সবজি চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা