• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

সড়কের বেহাল দশা, দুর্ভোগে শতাধিক গ্রাম

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২০  

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা ঘাট থেকে  জাফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়ক গত এক যুগ ধরে সংস্কারের অভাবে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির পুরো অংশজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী আবেদন করলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে সড়ক ব্যবহারকারী শতাধিক গ্রামের মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

জানা গেছে, উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ও ব্যস্ততম আরিচা ঘাট -জাফরগঞ্জ বাজার সড়ক। ৮ কিলোমিটার সড়কটি গত এক যুগের বেশি আগে নির্মাণ করে এলজিআরডি বিভাগ। সড়কটি দিয়ে উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষের যাতাযাত করে থাকে। এছাড়া এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই  জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পত্নী প্রমিলা দেবীর জন্ম ভিটা ও তেওতা  জমিদার বাড়ি দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটির পুরো অংশজুড়ে খানাখন্দে ভরা। কাপেটিং ও ইট-খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। নিয়মিত এ সড়ক দিয়ে শত শত সিএনজি, রিক্সা-অটো রিক্সার চলাচল করে। পাশাপশি জমিদার বাড়ি দেখার জন্য বাস-মিনিবাসসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচলের মাধ্যেম সড়কটি। রাস্তার এ বেহাল দশার কারনে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। যাতায়াতের সময় দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা। আবার জমিদার বাড়ি দেখার জন্য আসা দর্শনার্থীদের সড়কে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
 
স্থানীয় তেওতা একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। রাস্তার কারপেটিং উঠে সরু হয়ে যাওয়ার কারনে দুইটি সিএনজি রিকসা সাইড দিতে পারে না। মাঝে মাঝে সাইড দিতে গিয়ে পাশের খাদে পরে দুর্ঘটনার শিকার হয়। 

লেগুনা ড্রাইভার আমীন মাহমুদ জানান, আমি গাড়ি করে প্রায় দিন এ সড়ক দিয়ে ৭টি বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল দেই। এমনিতেই রাস্তাটি সরু। তার পর কারপেটিং উঠে আরো সরু হয়ে গেছে। পাশপাশি দুইটি রিকসা সাইড দিতে পারে না। এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ন সড়কটির বেহাল দশার কারনে জন সাধারনের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন,ব্যস্ততম সড়কটি মেরামতের জন্য জেলা-উপজেলার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েও কোন পদক্ষেপ মেলেনি। সড়কটি এলাকার প্রধান সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের এলাকার সকল মানুষের দাবি গুরুত্বপুর্ণ সড়টি ১০ ফিট থেকে ১৬ ফিট চওড়াসহ সংস্কার করতে হবে।

শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ কুদ্দুস সড়কটি  চলাচলের অনুপযোগী স্বীকার করে বলেন, এ ধরনের  বড় রাস্তা সংস্কারের জন্য আমাদের কাছে বাজেট নেই।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা