• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

আক্রমণ করবো না, আক্রান্ত হলে ছাড় দেবো না: কাদের

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২২  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। তবে আক্রান্ত হলে কোনো ছাড় দেবো না।

শুক্রবার (৩০ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন রাজধানীর ৯ পয়েন্টে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থান নেন। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সব স্পটই সমাবেশে রূপ নেয়। এরমধ্যে শ্যামলী, মিরপুর ১০ নম্বর এবং বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে বড়লোকদের বাড়ির গেইটে লেখা থাকতো ‘কুকুর হইতে সাবধান’। এখন দেশের জনগণ বলেছে ‘তারেক রহমান হইতে সাবধান’।

তিনি বলেন, আজ ঢাকা মিছিলের নগরী। সারা ঢাকায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। বিএনপির বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। ওদের রুখতে হবে, জঙ্গিবাদ রুখতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখতে হবে।

বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে ফখরুলের মুক্তি চান, ভালো কথা। ফখরুল তাদের বন্ধু, তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি অসুস্থ, তা তো আমরা জানি না। বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন, তিনি অসুস্থ।

এ দেশে যখন ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কী আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? আমি জানতে চাই কোথায় ছিল প্রতিবাদ, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ। আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্যে হত্যা করা তখন কী প্রতিবাদ করেছিলেন’ প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘তারা বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করবেন। বিএনপি এ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এ রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ রাষ্ট্রের স্বাধীনতার আদর্শকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রের অর্থপাচার করেছে বিএনপি। এ ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্র মেরামত করবে? এরা নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না।’

শ্যামলীর সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।

শ্যামলী ছাড়াও এদিন ঢাকার উত্তরা, মহাখালী, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রামপুরা, বাড্ডা ইউলুপ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে বিভিন্ন টিম সতর্ক পাহারায় ছিল। দুপুরের পর প্রতিটি স্পটে ঢাকা মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি সমাবেশে রূপ নেয়।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা