আওয়ামী লীগ আমজনতার ভালোবাসা নিয়ে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাবে

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফলভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। তিনি অসাধ্যকে সাধ্য করেছেন। তারই একটা দৃষ্টান্ত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দেশের এ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামায়াত গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলের নেতা-কর্মীদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, দেশের মানুষ বুঝে গেছে দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনা’র সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আর এজন্য আওয়ামী লীগ আমজনতার ভালোবাসা নিয়ে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যেতে চায়।’  
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর ইউনাইটেড ক্লাবে মহানগর ও জেলা যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের সাবেক জিএস নাজমা আক্তার বলেছেন, ‘১/১১’র সময় প্রধানমন্ত্রীকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন যুব মহিলা লীগের কর্মীরাই প্রথম রাজপথে আন্দোলনে নেমেছিল। 

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ’লীগকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য যুব মহিলা লীগ আ’লীগের সাথে কাজ করবে। যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রমে যুব মহিলা লীগ অগ্রণী ভূমিকা বাখবে। তিনি আরও বলেন, যুব মহিলা লীগ দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।’ 

প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ ও জেলা পরিষদ প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, খুলনা জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু, খুলনা জেলা আ’লীগের সদস্য ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। 
বিশেষ বক্তা ছিলেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আফসানা হাসান ডেইজী। বক্তা ছিলেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা যুব মহিলা লীগের আহŸায়ক এড. সেলিনা আক্তার পিয়া। 
মহানগর যুব মহিলা লীগের আহŸায়ক এড. রাবেয়া ওয়ালী করবীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আইরিন চৌধুরী নিপা ও জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য সচিব শেখ মমতাজ শিরিন ময়নার পরিচালনায় বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নুসরাত জাহান তাসনিম, জেদ্দা পারভীন রিনি, তাহেরা খাতুন লুৎফা, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি কাজী বাদশা মিয়া, রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, নগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মহানগর মহিলা আ’লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা হোসনেয়ারা রুনু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. সুলতানা রহমান শিল্পী, জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি হোসনেয়ারা চম্পা, সাধারণ সম্পাদক নাজনীন নাহার কনা, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি, খুলনা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকউজ্জামান অশোক, সদর থানা আ’ লীগের সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, কয়রা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জিএম মহসিন রেজা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিশিত রঞ্জিত মিস্ত্রি, রূপসা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, মহানগর যুবলীগের আহŸায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অজিত বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম কামরুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, জেলা মহিলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেহেনারা পারভীন, খানজাহান আলী থানা আ’লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, রূপসা উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমডি রকিব উদ্দিন, নগর আ’লীগের সদস্য মোজাম্মেল হক হাওলাদার, জেলা কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক আল মাহমুদ প্রিন্স, সদস্য আনিছুর রহমান মাসুম, রূপসা উপজেলা আ’লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাধুরি সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বিধান রায়, রূপসা উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ইউপি সদস্য আকালিমা খাতুন তুলি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা রুনা, মহিলা আ’লীগ নেতা দীপ বিশ্বাস, কৃষক লীগ নেতা নাজমুল তারেক তুষার, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মারুফ হোসেন, আমিন মোমিন রানা, মৃণাল কান্তি বাছাড়, চিশতি নাজমুল বাশার সম্রাট, রাকিব মাহমুদ, খায়রুল বাশার, মোঃ ইসরাইল মৃধা ইমন প্রমুখ। 
এদিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে মহানগর ও জেলা যুব মহিলা লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। জেলা যুব মহিলা লীগে সভাপতি পদে এড. সেলিনা আক্তার পিয়া ছিলেন একমাত্র প্রার্থী। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন আট (৮) জন এবং মহানগর যুব মহিলা লীগে সভাপতি পদে তিন (৩) জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নয় (৯) জন প্রার্থী হওয়ায় কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। 
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আংশিক কমিটি প্রকাশ হবে বলে ঘোষণা দেন যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জিএস নাজমা আক্তার।