• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তারেকের কাছে রাজনীতি মানে ‘টাকা কামানোর মেশিন’: বিএনপি নেতা মঞ্জু

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১  

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর কমিটির সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হয়ে বলেছেন, তারেক সাহেবের কাছে রাজনীতি টাকা কামানোর মেশিন। তিনি যদি দেশের জন্য রাজনীতি করতেন তাহলে বিএনপির এই বেহাল দশা হতো না। তার এই মন্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে রাজনৈতিক ময়দানে।কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর কমিটির সাবেক আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত হয়ে বলেছেন, তারেক সাহেবের কাছে রাজনীতি টাকা কামানোর মেশিন।

তিনি যদি দেশের জন্য রাজনীতি করতেন তাহলে বিএনপির এই বেহাল দশা হতো না।অব্যাহতির প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) মঞ্জু মুঠোফোনে বলেন, দলের জন্য কম করিনি। যে কোনো সংগ্রাম-আন্দোলনে রাজপথে থেকেছি। পুলিশের মার খেয়েছি, জেল খেটেছি। সামর্থ্য অনুযায়ী দলের জন্য টাকাও দিয়েছি। আর এখন দিতে পারিনি বলেই তারেক রহমান আমাকে দল থেকে বের করে দিলেন।মঞ্জু বলেন, যদি তারেক রহমানের বিএনপি করতে হয় তাহলে সত্য কথা বলা যাবে না। শুধু টাকা ঢেলে যেতে হবে।

এদিকে আপাতত চুপচাপ রয়েছেন খুলনার বিএনপির নেতারা। নগরীর প্রভাবশালী এ নেতার অব্যাহতির সিদ্ধান্ত দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে আসায় কোনও নেতাকর্মীই বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে নারাজ।তবে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা দলের এ সিদ্ধান্তকে ‘অবিচার’ আখ্যা দিলেও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা আগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চাচ্ছেন।এছাড়া দলটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বিএনপিতে খালেদাপন্থীদের ছাঁটাই চলছে। তারেক রহমান দলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতেই ধীরে ধীরে খালেদা জিয়ার পছন্দের নেতাদের বহিষ্কার করছেন।বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলছেন, খুলনায় বিএনপির রাজনীতিতে অপরিহার্য নাম মঞ্জু। দলের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে সামনের কাতারেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

তার অব্যাহতির কারণে অনেক নেতাকর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবেন।উল্লেখ্য, সাবেক ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু ১৯৮৮ সালে খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এরপর ১৯৯৩ সালে মহানগরের সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯ সালে আহ্বায়ক এবং ওই বছরেই সভাপতি হন তিনি।নজরুল ইসলাম মঞ্জু এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের রাজপথের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৮৫ সালের দিকে তিনি খুলনা মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক হন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন মঞ্জু।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা