• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

দিঘলিয়া ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ২০২টি ঘর তৈরী হচ্ছে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২২  

একপাশে লাল রংয়ের টিনের ছাউনী, অন্য পাশে সবুজ রংয়ের টিনের ছাউনীর সারিবদ্ধ ঘর। সারাদেশের ন্যায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য লাল  সবুজের সংমিশ্রণে নির্মাণ করা হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলো। নির্মাণাধীন ঘরগুলোর কাজ শেষ হলে হতদরিদ্র ভূমিহীন ও গৃহহীন  ২০২ টি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হবে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ‘র কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর  আওতায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ১ম ও ২য় পর্যায়ে ১০০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমি ও গৃহ প্রদান করে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে  এ উপজেলায় ১০০ টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ১০২ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হবে। ৩য় পর্যায়ের ১০০ টি ঘর নির্মাণ কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সরজমিনে দিঘলিয়া ঈদগাহের পিছনে ভৈরব নদীর তীর সংলগ্ন ভৈরব নগর আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে দেখা যায় ৯ টি ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে শেষ পর্যায়ের  জানালা-দরজায় রংয়ের কাজ। সদর ইউনিয়নের কদমতলায় গিয়ে দেখা যায় ৩৭ টি ঘরের নির্মাণকাজ জোরেশোরে চলছে। ঘরগুলো সঠিকভাবে তৈরি করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে কারিগরি কমিটি।  কমিটির সদস্যরা কাজের গুণগত মান নিয়মিত তদারকি করে চলেছেন। এছাড়া নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য  উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কদমতলা প্রকল্প এলাকায় স্থাপন করেছে সিসি ক্যামেরা। সরজমিনে পরিদর্শনের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিনিয়ত মোবাইল ফোন (সিসি ক্যামেরার সঙ্গে সংযুক্ত) থেকে তদারকি করে থাকেন।

গৃহনির্মাণ  কাজের গুণগত মান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুর রহমানের কাছে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প গুলোর মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ একটি  অন্যতম প্রকল্প। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণের জন্য সর্বশেষ চতুর্থ পর্যায়ে আমরা ১০২ টি ঘরের বরাদ্দ পেয়েছি। ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ চলমান আছে। আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবং অন্যান্য জায়গার প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নির্মাণকাজে যাতে কোনো অনিয়ম হতে না পারে সে জন্য  আমরা নতুনভাবে কিছু ইনিশিয়েটিভ ব্যবস্থা নিয়েছি। যেমন প্রকল্প এলাকায় আমরা সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। যার মাধ্যমে আমরা সার্বক্ষণিক নির্মাণকাজ মনিটরিং করছি। আমাদের কর্মচারীদের মধ্য থেকে সিডিউল করে প্রতিদিন একজন করে কাজের সাইডে রাখা হচ্ছে। এছাড়া প্রত্যেকটি নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করার সময় সেখানে একজন করে ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকেন। ঘর নির্মাণের পূর্বে আমরা বালি ভরাট করে রেখেছি। কমপেকশনের পর  আমরা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। এছাড়া যখন ঢালাইয়ের কাজ গুলো চলে  তখন আমরা নিজেরাই উপস্থিত থেকে যেমন বেজ ঢালাই, ১৫ ইঞ্চি ও ১০ ইঞ্চি ইটের গাথুনির উপর  গ্রেড ভিমের কাজ পর্যন্ত এনসিওর করে থাকি। এখানে ঘর নির্মাণ কাজে গাফিলতি অনিয়ম বা ত্রুটি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা