• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনার শাহাপুরে জমজমাট জালের হাট

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২২  

মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন জাল তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতীতকাল থেকেই মাছ ধরতে ঝাঁকি, চাক ও কোণা জাল ব্যবহার করে আসছেন গ্রামের জনগণ।

আগে প্রায় সব বাড়িতেই মাছ ধরার জাল বোনা হতো। কালের বিবর্তনে এখন তা বিলুপ্তপ্রায়। অধিকাংশ মানুষই এখন বাজার থেকে জাল কিনে থাকেন।

খুলনার শাহপুরের গরু-ছাগলের হাট এখন মাছ ধরার জাল বিক্রির অন্যতম হাট হিসেবে পরিচিত। প্রাচীন এ বাজারটিতে সাপ্তাহিক হাটের দিন দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের জাল নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঝাঁকি জাল বা খেপলা জাল, কারেন্ট জালসহ নানা ধরনের জালের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গাবের আঠা লাগানোর ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে ঝাঁকি জালের সৌন্দর্য। দাম হাঁকিয়ে চলছে বেচা-বিক্রি। আকার অনুযায়ী একেক জালের দাম একেক রকম।

হাটের বিক্রেতারা জানান, মাছ ধরার প্রধান হাতিয়ার জাল। এখন আর আগের মতো কেউ জাল হাতে বুনেন না। এখন মেশিনের মাধ্যমে জাল বোনা হয়।

সাতক্ষীরার পাটকেল ঘাটা থেকে জাল বিক্রি করতে আসা ফারুক হোসেন বলেন, খুলনা সাতক্ষীরা ও নাটোর থেকে এ বাজারে জাল আসে। ঝাঁকি জাল সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।

খুলনার ফুলতলা থেকে আসা জাল বিক্রেতা ইজাহার আলী মোড়ল বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এ হাটে আসেন। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জালের মোকাম ফুলতলায়।

ফুলতলা থেকে আসা হাফিজুর রহমান নামে আরেক জাল বিক্রেতা জানান, তিনি মূলত নাইলন ও প্লাস্টিকের জাল বিক্রি করেন। ছোট ছোট এসব জালের মূল্য ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

খুলনার আড়ংঘাটা থেকে হাটে জাল কিনতে এসেছেন গোলাম রসূল। তিনি বলেন, হাটে হরেক রকম জাল পাওয়া যায়। তাই জাল কিনতে এসেছি এখানে।

জানা গেছে, খুলনা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় গরুর হাট শাহাপুর। অর্ধশত বছরের অধিক সময় ধরে এখানে হাট বসে। খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে এখানে হাজারো মানুষ আসেন। প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে সাপ্তাহিক হাট বসে। উপকূলের জেলেরা হাটের দিন এখানে বিভিন্ন ধরনের জাল বেচা-কেনা করে থাকেন। যার কারণে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখানকার জালের হাট।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা