• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তেরখাদায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ, জেল ও জরিমানা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২০ আগস্ট ২০২২  

তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের হস্তক্ষেপে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তেরখাদা উপজেলার ইখড়ি চড়পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বিবাহ বন্ধ করেন ইউএনও।

এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কনের মাতা ও পাত্রের অভিভাবককে জেল, জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সাথে সাথে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন তিনি।

তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কনের পিতা, বর ও বরের পিতা পালিয়ে যায়। বাল্য বিয়ের পিড়িতে বসতে যাওয়া ওই কিশোরীর বয়স ১২। সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা), সাথে সাথে শুরু হয় চোর পুলিশ খেলা, মুহুর্তের মধ্যে শফিকুল কাজী তার কন্যা আদরী খাতুন (১২) কে নিয়ে এবং আব্দুর রশিদ তার ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের চাপের মুখে সেখানে হাজির হয় মেয়ের মা খুকু মনি ও ছেলের খালাত ভাই আলম।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ মোতাবেক মেয়ের মা কে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ছেলের খালাতো ভাইকে ৮ মাসের কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, বাল্য বিবাহ নিরোধে এ অভিযান অব্যহত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর হোসেন ও থানার এস আই মোঃ মনিরুজ্জামান।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা