• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পাইকগাছায় সোনালী আঁশের সুদিনের প্রত্যাশায় চাষিরা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২২  

খুলনার পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে ৩শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার ছাড়িয়ে যা আরও ২০ হেক্টর বেশি জমিতে লাগানো হয়েছে। গত বছর থেকে চলতি মৌসুম পর্যন্ত পাটের বাজারদরও বেশ ভাল। তাই সব মিলিয়ে উপজেলায় গত বছরের তুলনায় পাট চাষ বেড়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে পাটের ভালো ফলন হবে বলেও আশা করছেন কৃষি বিভাগসহ উপজেলার সর্বোস্তরের পাট চাষিরা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও উপজেলার প্রায় সর্বত্র পাটের চাষ হত। বলতে গেলে এমন কোন জমি ছিলো না যেখানে পাটের চাষ হতো না। তবে ধীরে ধীরে পাটের বাজার দর কমতে থাকায় লোকসানের মুখে চাষিরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে অনেকেই পাটের জমিতে গড়ে তোলেন নার্সারি। কেউবা আবার মৎস্য ঘের, এমনকি পূর্বের পাট চাষ করা জমিতে উপজেলার গদাইপুর সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় নানা ধরণের নার্সারি গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষ একেবারেই বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল।

সর্বশেষ ধীরে ধীরে ফের পাটের বাজার দর বৃদ্ধি এবং সরকার পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের নানা ভাবে সহায়তা প্রদান করায় সারা দেশের ন্যায় পাইকগাছার কৃষকদেরও পাট চাষে আগ্রহ ফিরেছে এমনটাই দাবি উপজেলা কৃষি বিভাগের।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাযায়, পাট চাষে জমি উর্বর থাকে। শস্য চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পাট খড়ি জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়। পাট দিয়ে এখন বিভিন্ন প্রকার পাটজাত পণ্য তৈরি করা যাচ্ছে বাজারেও যার যথেষ্ট চাহিদা এবং কদর রয়েছে।

এব্যাপারে সহকারী পাট কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ কুমার বৈদ্য জানান, উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ৬৩৩ একর জমিতে পাট চাষে কৃষকদের সরকারি প্রনোদনার সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানাম, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাট চাষের উপযোগী জমিতে নার্সারি গড়ে ওঠায় পাট চাষ কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে।

তবে গত কয়েক বছরে পাটের বহুমুখী ব্যবহার ও বাজার দর ভাল থাকায় কৃষকরা পুনরায় পাট চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলে এর বিপরীতে ৩৭৫ হেক্টর ( ২০ হেক্টর বেশি) জমিতে বিজেআরআই তোষা জাতের পাট-৮ চাষ হয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা আরও অধিক পরিমান জমিতে পাটের আবাদ করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা