• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ছাত্রদল সভাপতি’র নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২২  

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলনকে কুপিয়ে হত্যা প্রচেষ্টা ও মৃত ভেবে লাশ বস্তাবন্দী করে গুমের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উত্তর বেদকাশির বড়বাড়ী নামক স্থানে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও রাশেদ খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর মূমুর্ষূ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলন। এঘটনায় আজ শুক্রবার (১৩ মে) কয়রা থানায় আহতের মা বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিলনের কম্পিউটার চুরিকে কেন্দ্র করে বিচার মীমাংসা শেষে কয়রা থেকে বাড়ী ফিরছিল। পতিমধ্যে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের বড়বাড়ী নাম স্থানে পৌঁছালে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৭-৮জন মিলে মিলনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় সজ্ঞা হারায় মিলন। তাকে মৃত ভেবে মিলনকে বস্তাবন্ধী করে মোটরসাইকেলে করে তরিকুল ইসলাম ও রাশেদ খান নিয়ে যাচ্ছিল কয়রার দিকে। হঠাৎ মিলনের জ্ঞান ফিরে বস্তাবন্ধী অবস্থায় ডাক-চিৎকার শুরু করে। মুহুর্তেই স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে তাদের মধ্যে তরিকুলকে আটক করে; বস্তাবন্ধী মিলনকে উদ্ধার করে। পরে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে সঙ্গী ফোর্স এসে তরিকুলকে গ্রেফতার করে এবং মিলনকে কয়রার জায়গীরমহলস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। পরবর্তীতে রাশেদ খানকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, কম্পিউটার চুরির ঘটনা প্রকাশ করে-তাদের বিরুদ্ধে শালিস দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলনকে হত্যা চেষ্টা করেছিল তারা। ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে রাশেদ খান, লাবলু, রুহুল আমিন, লুৎফর ও বাবলুসহ আরও কয়েকজন একত্রিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল।

আহতের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেরে বস্তায় করে লাশ গুম করার চেষ্টা করছিল ওরা। বস্তার মুখ বাঁধার মুহুর্তে হঠাৎ করে রক্তাক্ত জখম মিলনের জ্ঞান ফিরে আসলে চিৎকার করে। তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে এবং পরে রাশেদ খানকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। ইতোপূর্বেও কয়েকটি চুরির সাথে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী জড়িত; যা আগেও শালিস-বিচার হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী বলেছেন, তরিকুল দলীয় কর্মকান্ডে নিষ্ক্রীয়। ইতোপূর্বে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। অনুরুপ কথা বলেন কয়রা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফ বিল্লাহ্ সবুজ।

এদিকে, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবিএমএস দোহা বলেন, এঘটনায় ভিকটিম মিলনের মা বাদী হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এমামলায় দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা