• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

দাকোপে অবাধে চলছে অতিথি পাখি শিকার

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০২১  

প্রতি বছরের মতো এবারও শীতের শুরুতে খুলনার দাকোপের বিভিন্ন অঞ্চলের খাল বিলে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে। পাখির কলকাকলীতে এঅঞ্চলের ছোট ছোট বিল ঝিলগুলো মুখরিত হয়ে উঠছে। পাখির কিচির মিচির শব্দে আনন্দঘন পরিবেশকে করে তুলছে আরও প্রানবন্ধব। কিন্তু স্থানীয় পেশাদার অসাধু শিকারীরা নানা কৌশলে অবাধে শিকার করে চলেছে অতিথি পাখি। এসব পাখি আবার অগ্রিম অডার নেয়া খরিদ্দারদের কাছে বিক্রিও করছে শিকারীরা।

এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, প্রচন্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার্থে সুদূর হিমালয়, সাইবেরিয়াসহ শীত প্রধান অঞ্চল থেকে অতিথি পাখি এঅঞ্চলে আসে। এসব পাখির মধ্যে রয়েছে বালি হাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালী কাস্তে চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদা খোচা, ডংকুর, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম। জানা গেছে ৮০ দশকে এদেশে আশা অতিথি পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৩০০ প্রজাতির। কিন্তু বর্তমানে এ সংখ্যা নেমে ৬০ থেকে ৭০ চলে এসেছে। স্থানীয় পেশাদার এসব শিকারীরা আইনের তোয়াক্কা না করে মেতে উঠেছে পাখি নিধনে। তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের খাল, বিল, নদী ও মাঠ থেকে নাইলনের সুতার তৈরি ফাঁদে ও চোখে আলো ফেলে, কেঁচো দিয়ে বশি পেতে, কোচ মেরে ও কারেট জাল পেতে এসব পাখি শিকার করছে। প্রশাসন তৎপর হলে এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে এসব পাখি শিকার বন্দো হবে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিকারীর সাথে আলাপকালে তারা জানান, প্রতি রাতে ধান ক্ষেতে বসে পাখির ডাকের সাথে সুর মিলানো বাঁশি অথবা মোবাইল ফোনে রেকর্ড বাজিয়ে উড়ন্ত পাখিদের নিচে নামিয়ে ফাঁদে ফেলে অতি সহজে শিকার করছে। এসব পাখি আবার অগ্রিম অডার নেয়া খরিদ্দারদের কাছে পাখি প্রতি ২০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছে।

এব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পরিতোষ কুমার রায় বলেন, তিনি পাখি শিকারীদের খোঁজ পাচ্ছেন না। তবে তার দপ্তরের সাথে যুক্ত বিভিন্ন ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা