• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কয়রায় বিলুপ্ত প্রায় মৃৎ শিল্প

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২১  

‘মৃৎ’ শব্দের অর্থ মৃত্তিকা বা মাটি আর ‘শিল্প’ মাটি দিয়ে তৈরি সুন্দর ও সৃষ্টিশীল বস্তুকে বোঝানো হয়েছে। এজন্য মাটি দিয়ে তৈরি সব শিল্পকর্মকেই মৃৎশিল্প বলা হয়। কুমারদের হাতের কারুকার্যে তৈরি পরিবেশ বান্ধব মাটির জিনিসের কদর ছিল গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে।

আধুনিকতার ছোঁয়া ও সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে বাজারে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ভিড়ে প্রায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎ শিল্প।

দেশের বিভিন্ন স্থানের মত উপকূলীয় খুলনার কয়রায় হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎ শিল্পী। বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার দৃশ্য। এক সময় এশিল্পের কারিগরেরা ব্যাস্ত থাকতো দিন রাত। সময়ের পরিবর্তনে কুমারপাড়ার চাকা আজ আর তেমনটি ঘোরে না। মাটির পুতুল, হাঁড়ি-পাতিল, সরা, বাসন, কলসি, বদনার কদর প্রায়ই শূন্যের কোটায়।

একটা সময় এ শিল্পের মালামাল স্থানীয় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও সরবরাহ করা হত।

অনাধী কুমার পাল জানান, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও আমাদের তৈরি মাটির জিনিসের দাম কখনো বাড়েনা। প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের ব্যাবহার বেড়েছে। মাটির তৈরি হাড়ি পাতিল হাট-বাজারেও আগের মত বিক্রি হয় না। এখন মিষ্টির দোকানে চাড়ি ছাড়া তেমন কিছু বিক্রি হয় না। বাপ-দাদার পেশা আঁকরে ধরে রাখতে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়।

পূর্ণিমা রানী পাল জানান, হাঁড়ি-পাতিল ও অন্য সব জিনিসপত্র তৈরির জন্য ব্যবহৃত এটেল মাটি পাশের গ্রাম থেকে টাকা দিয়ে কিনে ভ্যানে করে আনতে হয়। তারপর মাটির হাড়ি-পাতিল, কলস, সরা, চাড়ি, টাটি তৈরি করে রোদে শুকিয়ে ও আগুনে পুড়িয়ে ব্যবহারযোগ্য করে হাড়াভাঙা পরিশ্রমের পারিশ্রমিক পাইনা। আমাদের পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছি।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা