• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

ডুমুরিয়ার চিচিঙ্গা : চাষীর মুখে এক চিলতে হাসি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১  

গেল শীত মৌসুমে মূলা ও ফুলকপিতে বড় ধরনের লোকসান হয়েছে ডুমুরিয়ার শ’ শ’ চাষীর। বোরো ধানের লোকসান এখনো কাটাতে পারেনি। করোনায় ধারদেনায় ডুবে ছিল কৃষক। গ্রীষ্ম মৌসুমে চিচিঙ্গায় ভালো দাম পেয়েছে প্রান্তিক চাষীরা। ধার দেনা কাটিয়ে এখানকার চাষীর মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠেছে।

শীত মৌসুমে মূলা বিক্রি হয়নি। ফুলকপি প্রতি কেজি ৪ টাকা ও সীম কেজি প্রতি ৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষিশ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ায় বোরোর উৎপাদন খরচ ওঠেনি। বোরো কাটার পর ডাটা শাক, ঢেড়সের পাশাপাশি উচ্ছে চাষ করে। বরবটির সাথী ফসল হিসেবে চিচিঙ্গা চাষ হয়েছে। উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে এর আবাদ হয়।

আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া, চুকনগর, মালতিয়া, রুস্তমপুর, খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা, খর্নিয়া, পাচপোতা, শরাপপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, চড়চটিয়া, রংপুর ইউনিয়নের শলুয়া, রংপুর, ঘোনা মাদারডাঙ্গা, আমভিটা, ডুমুরিয়া ইউনিয়নের নলঘোনা গ্রামে মাঠের পর মাঠ মাচায় চিচিঙ্গা ঝুলছে। এর সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে ৬শ’ কৃষক পরিবার।

উল্লেখযোগ্য চাষীরা হচ্ছেন কুম্বাড়িয়া গ্রামের আনন্দ দাস, রামকৃষ্ণ মন্ডল, খর্ণিয়া গ্রামের মোস্তফা কবির, বরাতিয়া গ্রামের ইসলাম বিশ্বাস, তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, মালেক বিশ্বাস, আসমা খাতুন, হাসান আলী বিশ্বাস, ইন্দ্রজিৎ নন্দী, আবুল বিশ্বাস ও ইসলাম শেখ প্রমুখ।

এ সবজির সময়কাল এপ্রিল থেকে আগস্ট। বীজ রোপণের ৩৫ দিন পর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। কৃষি উপকরণ হিসেবে দুবার ড্যাপ সার ব্যবহার করতে হয়। রানার ও মোহিনী জাতের বীজের ভালো ফলন হয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন তথ্য দিয়েছেন, বরবটির সাথী ফসল চিচিঙ্গার বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ পনেরো হাজার টাকা। মৌসুমে এক বিঘা থেকে দেড় লাখ টাকার এ ফসল বিক্রি হয়। তিনি আশাবাদী এ মৌসুমে প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন চিচিঙ্গা উৎপাদন হবে। তিনি তথ্য দিয়েছেন, জুন মাসে ডুমুরিয়ার উৎপাদিত পটল, কচুর লতি ও কাঁচা কলা ইতালিতে রপ্তানী হয়। এর পরিমাণ ২ মেট্রিক টন। আগামী মাসে কচুর মুখী রপ্তানী হবে।

বরাতিয়া গ্রামের ইসলাম বিশ্বাসের স্ত্রী কৃষাণী শাহিনুর বেগম এ প্রতিবেদককে বলেছেন, ১২ শতক, ১০ শতক ও ৮ শতক তিন প্লটে চিচিঙ্গার আবাদ করেছেন। এক দিন পর পর গড়ে ১০ মণ চিচিঙ্গা বাজারজাতকরণ করেন, যার মূল্য ৮ হাজার টাকা। করোনাকালীন কৃষিপণ্যের দাম না পেয়ে এখানকার কৃষকেরা ধার দেনায় ডুবে যায়। চিচিঙ্গার দাম পেয়ে কৃষকেরা দেনামুক্ত হচ্ছে। চিন্তামুক্ত হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে কৃষক পরিবারে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা