• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনায় ইলিশের কেজি ১৮শ’ টাকা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২১  

ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই সরকার পুরো দুই মাস বঙ্গপোসাগরে সকল প্রকার মাছে ধরা নিষিদ্ধ করেছে। খুলনা মহানগরীর রূপসা ও ৭ নম্বর ঘাটে তাজা ইলিশ আসা এখন বন্ধ। হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক লাভের আশায় মজুদকৃত ইলিশ বাজারে সরবরাহ করছে। নতুন বাজার, মিস্ত্রী পাড়া, নিউ মার্কেট ও থানার মোড়ে প্রতি কেজি ইলিশ ১৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাও ভিড় রয়েছে বেশ।

খুলনা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বঙ্গপোসাগরে সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে। প্রজনন বৃদ্ধির জন্য ৪-২৬ অক্টোবর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ ছিল। বাজারে ইলিশ পেলে জরিমানা করার বিধানও করা হয়। মূলত: আষাঢ় থেকে ইলিশের মৌসুম শুরু হলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা সাগরে ইলিশ আহরণে যেতে পারেনি। এমন একটি সুযোগ সহজভাবে কাজে লাগিয়েছে হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মহানগরীর রূপসা ও ৭ নম্বর ঘাটে ইলিশ আসা এখন বন্ধ। জেলেরা রূপসার দেয়াড়া, ৭ নম্বর ঘাট এবং মংলার দ্বিগরাজে জাল মেরামত ও নৌকা সংস্কারের কাজে ব্যস্ত। ২৩ জুলাইয়ের পর তারা বঙ্গপোসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে খুলনা মোকামে ৪শ’ মেট্রিক টন ইলিশ আসে। সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলেরা জাটকা ধরা থেকে বিরত রয়েছে।

তিনি বলেন, হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখন ইলিশ সরবরাহ করা হচ্ছে। আষাঢ়ে কাঙ্খিত বৃষ্টি হওয়ায় বঙ্গপোসাগর এলাকায় লবণাক্ততার পরিমাণ কমেছে। আগস্টের প্রথম থেকে খুলনার মোকামে ইলিশ আমদানির পরিমাণ বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।

খুলনা থানা মোড়ের খুচরা ইলিশ বিক্রেতা মো. সামসুল হক জানান, প্রতিদিন গড়ে ৪০ কেজি করে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ৫শ’ গ্রাম সাইজের প্রতিকেজির মূল্য ৮শ’ টাকা, ১ কেজি সাইজের ওজনের ইলিশের মূল্য ১২শ’ ৫০ টাকা এবং দেড় কেজি সাইজ ওজনের প্রতি কেজির মূল্য ১৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। থানা মোড়ের আরও দুই খুচরা বিক্রেতা প্রতিদিন অনুরূপ পরিমাণ ইলিশ বিক্রি করছে।

নিউমার্কেট কাচা বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ি হায়দার আলী জানান, এ সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২ মণ করে ইলিশ বিক্রি হয়েছে। মূল্যের কোনো তারতম্য হচ্ছে না।

সন্ধ্যা বাজারের ব্যবসায়ি নূর ইসলাম জানান, মৌসুম না থাকলেও হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিদিন দৌলতপুর, খালিশপুর, বৈকালী বাজার, নতুন বাজার, বড় বাজার, নিউমার্কেট ও সন্ধ্যা বাজারের জন্য গড়ে ৪০ মণ করে ইলিশ সরবরাহ করছে। তিনি আশাবাদী এ মাসের শেষ দিন পর্যন্ত ইলিশ সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা