• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

পাউবোর উদাসীনতায় দাকোপে তরমুজ ধানসহ রবি ফসল হুমকির মুখে

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২০  

খুলনার উপকুলিয় উপজেলা দাকোপ ধীরে ধীরে কৃষি জোন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। কিন্তু কৃষি বিপ্লবের প্রতিকুলতা মিষ্টি পানির সংকট আর নদীর লবনাক্ত পানি প্রবাহ। কামারখোলা ইউনিয়নে পাউবোর ঢাকনা বিহীন গেট দিয়ে ওঠা লবন পানিতে ঝুকির মুখে পড়েছে সেখানে রোপনকৃত ৩ হাজার বিঘা জমির তরমুজ ধান গমসহ রবি ফসল।
এক সময় যেখানে বছরে একটি মাত্র ফসল আমন ধানের উপর নির্ভর করতে হত এখন সেখানে অনেক প্রতিকুলতার মাঝে কৃষকরা ফলাচ্ছে ২/৩ ফসল। দাকোপের কৃষি ভান্ডারখ্যাত বাজুয়া দাকোপসহ ৫ টি ইউনিয়নের ন্যায় উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়ন ধীরে ধীরে কৃষি উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছর সেখানে প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমিতে গরমের ধান, তরমুজ, আলু, ভুট্রা, ঝিঙে, ঢেড়শ, উচতে, বাঙ্গি, মিষ্টি কুমড়ো, গম, তিল, সূর্যমূখী, বাদামসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সব্জির চাষাবাদ করা হয়েছে। কিছু দিন আগে রোপনকৃত বীজ থেকে চারা গুলো কেবলই মাথা উঁচু করে দাড়াচ্ছে। এমনই মুহুর্তে লবন পানির ছোয়াতে চারার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। অনেক কৃষকের ক্ষেতের চারা লবনের প্রভাবে মরেই গেছে। জানা গেছে কালীনগরে পাউবোর স্লুইজ গেটের নষ্ট ঢাকনা দিয়ে দিনরাত নদীর লবন পানি ওঠা নামা করছে। গত বৃহস্পতিবার জোয়ারের চাপ বেশী হওয়ায় লবন পানি কৃষকের ক্ষেতে উঠে যায়। কৃষক বাঁচাতে গেট সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধীকবার বলেও সুফল মেলেনি এমন দাবী তাদের। সাহারাবাদ গ্রামের

আশরাফ সানা, মহাজনি সুদে টাকা নিয়ে ২ বিঘে জমিতে রবি ফসলের চাষ করেছিল। এক জোয়ারের পানিতে তার সেই চারাগাছ মরার পথে। সাতঘরিয়া গ্রামের বিপুল মন্ডলের ৪ বিঘা এবং একই গ্রামের মনোরঞ্জন মন্ডলের সাড়ে ৩ বিঘা জমির তরমুজ ধানসহ রবি ফসল মরার উপক্রম। ইউনিয়নের প্রথম এবং সফল চাষি কালীনগর গ্রামের কৃষ্ণপদ ঘোরামী। এবার ২০ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করেছেন। তিনি বলেন পর্যাপ্ত মিষ্টি পানির আঁধার না থাকায় অনেক প্রতিকুলতার মাঝে আমাদের ফসল ফলাতে হয়। তার মাঝে এভাবে ওয়াপদার গেট দিয়ে লবন পানি উঠতে থাকলে কৃষক বাঁচবেনা। এ ব্যাপারে কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল বলেন, দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ এই ইউনিয়নের মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে এক ফসলী জমিকে ২/৩ ফসল ফলিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই গেটের লবন পানি তাদের ফসল উৎপাদনে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি বলেন শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মান হচ্ছে কিন্তু কোথাও স্লুইজ গেট নেই। আবার বার বার তাগাদা দিয়েও পুরানো গেট গুলো সংস্কার করানো যাচ্ছেনা। তিনি কৃষক বাঁচাতে অবিলম্বে গেট সংস্কার এবং কামারগোদা, পাচুরদোয়ানী ও নলিয়ান নদী ইজারামুক্ত রেখে মিষ্টি পানির আঁধার সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে কৃষি ও ভূমিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা