• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কোণঠাসা জঙ্গিরা, ‘বাংলাদেশ’ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে নিরাপদ দেশ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২২  

একের পর এক অভিযান আর নিয়মিত সাইবার মনিটরিংয়ের কারণে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে দেশীয় জঙ্গিরা। অভিযানে শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার এবং কখনও কখনও মারা যাওয়ার কারণে মুখ খুবড়ে পড়ছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রমও। 

এসব কারণে আন্তর্জাতিক জঙ্গি বিরোধী প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সূচক উন্নত হয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে এখন বাংলাদেশ পরিচিতি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটির (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। 

২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান বেকারিতে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নারকীয় ও বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর একের পর এক সফল অভিযানে দেশে জঙ্গিবাদ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। 

নারকীয় হলি আর্টিজান হামলার ৬ বছর

নারকীয় হলি আর্টিজান হামলার ৬ বছর

হলি আর্টিজান হামলার ৬ বছর পর বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থা কি জানতে চাইলে সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিগত ২ বছর যাবৎ কোনো জঙ্গি হামলার ঘটনা নাই। তাদের উপস্থিতি প্রকাশিত হয় বিভিন্ন হামলার মধ্য দিয়ে। যেহেতু তাদের কোনো এজেন্ডা নাই, কোনো হামলার ঘটনা নাই, তাই স্পষ্টই বলা যায় তাদের সক্ষমতা এখন আর আগের মতো নাই।’ 

গুলশানে সেদিনের হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা

গুলশানে সেদিনের হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স (জিটিআই) রিপোর্টেও জঙ্গিবাদ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক উন্নত হয়েছে। এখানে আমাদের দেশের অবস্থান ৪০তম। এখানে অনেক উন্নত দেশের চেয়ে আমরা অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছি। শুধু তাই নয়, বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ বাংলাদেশ। সুতরাং এটা থেকে আমরা বলতে পারি জঙ্গিদের একেবারেই সক্ষমতা নাই। তারপরও তারা অনলাইনে কিছুটা তৎপর রয়েছে। গত ২ বছর অনেক সাইবার এক্টিভিস্ট জঙ্গিবাদের প্রচারণা চালায় এমন শীর্ষ কয়েকজন ব্যক্তিত্বকে আমরা ধরেছি। এতে তাদের তৎপরতাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ তারা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আস্তানা গেড়েছিল। সেটিও আমরা গুড়িয়ে দিয়েছি। সর্বশেষ যারা মাথাছাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সেই নব্য জেএমবিও অস্তিত্ব সংকটে ভূগছে। ইতোমধ্যে তাদের শীর্ষ নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন। কেউ অভিযানে মারা গেছেন।’ 

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো, আগে যত সহজে তরুণদের জঙ্গিবাদে জড়ানো যেতো, এখন তত সহজে পারছে না। কারণ জঙ্গিবাদের কুফল নিয়ে পরিবার, সমাজ অনেক সচেতন। এরফলে তরুণ প্রজ্ন্ম জঙ্গিবাদকে আর প্রশ্রয় দিচ্ছে না। তাই জঙ্গিবাদে উদ্বুব্ধকারীরা সুবিধা করতে পারছে না। কারণ তরুণ প্রজন্ম গত কয়েক বছরে দেখেছে জঙ্গিবাদের ফল কী। এর পরিণতি কী। সুতরাং অনলাইনেও তাদের কার্যছক্রম আমাদের নিয়ন্ত্রণে।’ 

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা