বিশ্বের বৃহৎ সিরামিক পল্লি হবে বাংলাদেশে
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

তৈজসপত্রের বৈশ্বিক ও স্থানীয় বাজার ধরতে নতুন করে এ ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ গ্রুপ। এ ব্যবসায় বিনিয়োগের কারণ ও বাজার সম্ভাবনা এবং আকিজ গ্রুপের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিন।
প্রশ্ন: আপনারা নতুন করে তৈজসপত্রের ব্যবসায় নেমেছেন। হঠাৎ করে এ ব্যবসায় নামার কারণ কী?
সেখ বশির উদ্দিন: ২০১২ সালে আমরা সিরামিক ব্যবসা শুরু করি। ওই সময় আমরা বাংলাদেশে সর্বোচ্চ উৎপাদনক্ষমতা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সিরামিকের বাজারে আকিজের নামটি ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করা। সিরামিকে সফলতার পর আমরা স্যানিটারিওয়্যারে বিনিয়োগ করি। সেখানেও বেশ ভালো সফলতা পেয়েছি। বাংলাদেশের একমাত্র কোম্পানি হিসেবে আকিজ দুবাই ও ইংল্যান্ডে ধারাবাহিকভাবে স্যানিটারিওয়্যার রপ্তানি করছে। এর মধ্যে একবার আমি জার্মানিতে একটি বড় ক্রেতাপ্রতিষ্ঠান ভিজিটে যাই। সেখানে গিয়ে রোজেন থাল নামের বিশ্বের নামকরা একটি তৈজসপত্রের কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করি। ওই কারখানায় গিয়ে দেখি তারা কাপ তৈরি করছে যন্ত্রে আর সেটির হাতল লাগাচ্ছে হাতে। তখন আমার মনে হলো, এ কাজে যদি জার্মান একটি কোম্পানি অধিক অর্থ ব্যয় করে করতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কেন পারবে না। তখনই মনে হয়েছে তৈজসপত্রের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের একটি বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই আমাদের এ ব্যবসায় বিনিয়োগ।
প্রশ্ন: শুধু কি বৈশ্বিক বাজারের সম্ভাবনা থেকেই এ ব্যবসায় বিনিয়োগ? নাকি দেশের বাজারকেও বিবেচনায় নিয়েছিলেন।
সেখ বশির উদ্দিন: শুধু বিদেশের বাজার নয়, এ খাতে বিনিয়োগের আগে আমরা দেশের বাজারকে বিবেচনায় নিয়েছি। বাংলাদেশের প্রথম তৈজসপত্রের কারখানা তাজমা চালু হয়েছিল পঞ্চাশের দশকে। এরপর আশির দশকে এ খাতে বিপ্লব ঘটায় মুন্নু সিরামিক। ২০০০ সালের দিকে ফার সিরামিক বাজারে আসে। আমরা দেখেছি তৈজসপত্রের উৎপাদনব্যবস্থাটি মূলত আধুনিক যন্ত্রপাতি ও নন্দনশৈলীর ওপর নির্ভরশীল। এসব বিবেচনায় নিয়ে দেশের বাজারের সম্ভাবনা যাচাই করতে গিয়ে দেখলাম, এ শিল্পে একসময় যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা এখন আর খুব বেশি সক্রিয় নেই। ফলে যে শূন্যতা বিরাজ করছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে এ খাতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিই।
প্রশ্ন: নতুন এ কারখানায় বিনিয়োগের পরিমাণ কত? কত লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে?
সেখ বশির উদ্দিন: ময়মনসিংহের ত্রিশালে ২৫ একর জায়গার ওপর নতুন এ কারখানা গড়ে তুলেছি আমরা। ২০১৮ সালে এটির কাজ শুরু হয়। গ্যাস–সংযোগ না পাওয়ায় উৎপাদনে যেতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। এ পর্যন্ত বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকার মতো। ধীরে ধীরে এটির উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানো হবে। বর্তমানে কারখানাটির প্রতিদিনের উৎপাদন সক্ষমতা ৫৫ হাজার পিস। আগামী সাত–আট মাসের মধ্যে এ সক্ষমতা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার পিসে উন্নীত করা হবে। তখন এ শিল্পে মোট কর্মসংস্থান বেড়ে দাঁড়াবে তিন হাজারে। ত্রিশালে যেখানে তৈজসপত্রের কারখানাটি অবস্থিত, সেখানে ১৫০ একর জায়গা নিয়ে আমাদের পুরো সিরামিক শিল্প গড়ে তুলছি। যেভাবে সেখানে কারখানা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সিরামিক পল্লি।
প্রশ্ন: তৈজসপত্র ছাড়া আর কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করেছেন?
সেখ বশির উদ্দিন: আমরা হবিগঞ্জে ৯০ একর জায়গার ওপর নতুন একটি ফ্লোট গ্লাস কারখানা করছি। আশা করছি ২০২৪ সাল নাগাদ এ কারখানায় উৎপাদন শুরু করতে পারব। এ ছাড়া আমরা সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল দেশে তৈরির চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমরা এ শিল্পের কাঁচামাল ইংল্যান্ড, স্পেন, জাপান, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে থাকি। আগামী ২০২৪–২৫ সালের মধ্যে আমরা আমাদের সিরামিক শিল্প এলাকায় সাত–আট হাজার লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করতে চাই। বর্তমানে সেখানে ছয় হাজারের মতো লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি বলছিলেন, তৈজসপত্রের নতুন কারখানায় সবচেয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও দক্ষ লোকের সম্মিলন ঘটিয়েছেন। তাতে পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে না? সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম থাকবে তো?
সেখ বশির উদ্দিন: আমরা যখন কোনো পণ্য তৈরি করি, তখন দামের চেয়েও আমাদের কাছে প্রধান বিবেচ্য থাকে পণ্যের গুণগত মান। আমরা এমনভাবে পণ্য তৈরি করি, যাতে তার বাজারমূল্যের চেয়ে নান্দনিক মূল্য অনেক বেশি থাকে। যেটিকে আমরা বলি, ‘দামের চেয়ে দামি’। এ ছাড়া আমরা বিপুল পরিমাণ পণ্য তৈরি করি বলে উৎপাদন খরচ কমে আসে। ক্রেতা বা গ্রাহকদের আমরা এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, আমাদের পণ্য কিনে কারও মনে হবে না দাম বেশি।
প্রশ্ন: রপ্তানি ও দেশীয় বাজার মিলিয়ে বছরে কী পরিমাণ পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা করেছেন?
সেখ বশির উদ্দিন: আমরা দেখেছি, বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ৫০০ কোটি টাকার তৈজসপত্র রপ্তানি হয়। আশা করছি, সেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠান বছরে ২০০ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। পাশাপাশি দেশের বাজারেও বছরে ২০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা করছি। এ জন্য আমরা এ খাতের সেরা সব মানুষকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত করেছি।

- বিরোধ নিষ্পত্তিতে ৫ সিটিতে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল গঠন ইসির
- একনেকে ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকার ১৮ প্রকল্প অনুমোদন
- বাংলাদেশের নামে আর্জেন্টিনায় ফুটবল ক্লাব, আছেন বঙ্গবন্ধুও
- লোডশেডিং : ফেরা হচ্ছে তেলভিত্তিক উৎপাদনে
- কাঙ্ক্ষিত স্যাংশন না পেয়ে মির্জা ফখরুল প্রলাপ বকছেন : কাদের
- প্রশাসনে বড় রদবদল, আলোচনায় এক সচিব
- শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার শুরু
- বেইজিংয়ে মার্কিন ও চীনা কর্মকর্তাদের ‘খোলামেলা’ আলোচনা
- খুলনা মহানগরীর সম্প্রসারণসহ ৪০ দফা ইশতেহার ঘোষণা খালেকের
- সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
- ফকিরহাটে শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামী কথিত কবিরাজ গ্রেপ্তার
- বাংলাদেশ সফরে এসেছেন ভারতের সেনাপ্রধান
- বাকিটা জীবন খুলনার উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই:খালেক
- খুলনায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত
- রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্বের বাইরে কাজ করলে প্রয়োজনে ব্যবস্থা
- বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের সেনাপ্রধান
- জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বঙ্গোপসাগর
- মারা গেলেন অভিনেত্রী সুলোচনা লাতকর
- রুশ হামলায় ইউক্রেনের ২৫০ সেনা নিহত
- পাহাড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান : সেনাপ্রধান
- বিশ্বজুড়ে খাদ্যমন্দা ও মুদ্রাস্ফীতি মানুষের জীবন অসহনীয় করেছে
- উপার্জনের একমাত্র ভ্যানটি হারিয়ে বাকরুদ্ধ ডুমুরিয়ারএরশাদ আলী
- নির্বাচনে কে আসবেন, কে আসবেন না সেটা দেখার বিষয় নয়: ইসি আলমগীর
- খুবিতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বায়োটেকনোলজি শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার
- খুবির দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুদ্ধাচার সম্মাননা প্রদান
- জ্যৈষ্ঠের দহনে পুড়ছে দেশের মানুষ
- আগুন সন্ত্রাসের হুকুম ও অর্থদাতাদের তালিকা করা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
- দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
- দেশ ছাড়া নিয়ে যা বললেন ডিবির হারুন
- টাইটানিকের যে ছবি আগে দেখেনি কেউ
- দেশবিরোধী ভয়ানক তিন সাইবার দুর্বৃত্ত
- খুলনার রূপসায় দেশি অস্ত্রসহ যুবক গ্রেপ্তার
- তেরখাদায় দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে র্যালি ও মানববন্ধন
- খুলনায় আনসার বাহিনীর মহাপরিচালকের মত বিনিময়
- খুলনায় সার্জারির মাধ্যমে ছেলেকে মেয়েতে রূপান্তর!
- ধর্ষণ মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কারাগারে
- খুলনা ও রাজশাহীতে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ
- কেসিসি নির্বাচন : প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর
- শেখ হাসিনা কৃষিকে অধিকতার গুরুত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে
- ওজোপাডিকোর সাবেক এমডি, সচিবসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- খুলনা সিটি উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরলেন মেয়র খালেক
- খুলনায় নির্মাণাধীন ২৯ তলা ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- মা ও নবজাতকসহ সড়কে প্রাণ গেল ৪ জনের
- খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৩নং ওয়ার্ডে ফের কাউন্সিলর হচ্ছেন টোনা
- খুলনায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে জরিমানা, এক প্রার্থীকে শোকজ
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজেট অত্যাবশ্যকীয় : নগর যুবলীগ
- পাইকগাছায় ‘পাগলি’ মা হলেও বাবা হয়নি কেউ!
- বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক লাভের ৫০ বছর পূর্তির প্রস্তুতি
