‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের’ প্রতিবেদন : শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখুন
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২২

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে নিবন্ধ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের পত্রিকা ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’। ‘টেক অ্যাওয়ে ফ্রম বাংলাদেশ’স লিডারশিপ’ শিরোনামে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) প্রকাশিত নিবন্ধটির লেখক সাহেবজাদা রিয়াজ নূর। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সাহেবজাদা রিয়াজ নূর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খোয়া প্রদেশের মুখ্য সচিব ছিলেন।
বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে রিয়াজ নূর বলেন, ‘এই উন্নয়নের কৃতিত্ব দেশটির নেতৃত্বকে দেওয়া যেতে পারে।’ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন, এই সেতুকে দেশের ‘গর্ব ও সামর্থ্যের প্রতীক’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৯৯০ এর দশক থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যা এবং পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তিনি রাজনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে অর্থনৈতিক নীতির ভারসাম্যের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।’
নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনা তার বাবার সমাজতান্ত্রিক এজেন্ডা থেকে বাজারভিত্তিক পুঁজিবাদী প্রবৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেন। তিনি অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলো থেকে শিখেছেন— যাদের অর্থনৈতিক সাফল্যের ভিত্তি চারটি। এই ভিত্তিগুলো হলো— রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক উন্নয়ন, রফতানিকেন্দ্রিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাণিজ্য নীতি উদারীকরণ এবং আর্থিক সংযম।
একটি সম্মেলনে এক অর্থনীতিবিদ যখন তাকে বাণিজ্য উদারীকরণের সুবিধা সম্পর্কে বলছিলেন, শেখ হাসিনা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাণিজ্য উদারীকরণের বিষয়ে আমাকে বোঝাতে হবে না। আমি যখন যুগোশ্লাভিয়া সীমান্তবর্তী ইতালির শহর ত্রিয়েস্তে আমার পদার্থবিদ ও পরমাণু বিজ্ঞানী স্বামীর সঙ্গে থাকতাম, তখন দেখেছি, সীমান্ত সপ্তাহে তিন বার খোলা থাকছে এবং দুই পাশ থেকে মানুষ যাতায়াত করছে। পণ্য কিনছে এবং আবার ফিরে যাচ্ছে।’ এতে এটিই প্রমাণ হয়, রাজনীতিবিদরা সাধারণত যেসব বিষয়ে আকৃষ্ট হন, তার পরিবর্তে শেখ হাসিনা অর্থনীতির দিকে আন্তরিকভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন।
১৯৭১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে জবাবদিহির অভাব এবং সামরিক শাসনের প্রভাব থাকলেও ২০০৯ সাল থেকে সেনাবাহিনী অন্তরালে রয়েছে। বেসামরিক সরকারগুলোর ঘন ঘন পা পিছলে পড়া এবং সরকারগুলোর সামান্য বৈধতা বা অবৈধতার অভিজ্ঞতা পেয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির গণতান্ত্রিক ইতিহাস মোটেই নিষ্কলঙ্ক নয় এবং এখানকার সরকার দুর্নীতি ও অদক্ষতার বিষয়ে জনসাধারণের সমালোচনা বারবার এড়িয়ে গেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দূরদর্শী এবং দৃঢ় প্রত্যয় ধারণ করেছেন।
তিনি মনে করেছেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতিই দেশের দারিদ্র্য বিমোচনের একমাত্র উপায়।
বিরোধীদেরকে বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ থাকলেও ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে দেশটি ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ছিল, কিন্তু এখন পাকিস্তানের চেয়ে ৪৫ শতাংশ ধনী।
পাকিস্তানের তুলনায় ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ অংশে জনসংখ্যা ১ কোটি বেশি ছিল। আর এখন পাকিস্তানের ২৩ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ। ২০২১ সালে বাংলাদেশের রফতানি ৪৭ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ২৮ বিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানের ১ হাজার ৫৪৩ ডলারের তুলনায় বাংলাদেশে এখন মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার। বাংলাদেশে ২০২২ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪১১ বিলিয়ন, পাকিস্তানে তা ৩৪৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশ, পাকিস্তানে আগে যা ছিল ১২-১৫ শতাংশ। পাকিস্তানে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ২১ শতাংশ হয়েছে। ভবিষ্যতে এই হার আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া, পাকিস্তানি রুপির তুলনায় বাংলাদেশি টাকা অনেক শক্তিশালী। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর অধিকহারে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাক্ষরতার হার অনেক বেশি।
পাকিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলো এখনও নিজস্ব স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বারবার কারসাজির ফলে শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক এবং পরিবারতন্ত্র বহির্ভূত রাস্তায় রাজনৈতিক দলগুলোর পথচলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এটা অনস্বীকার্য যে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আইনের শাসন, শক্তিশালী বেসামরিক প্রতিষ্ঠান এবং অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। পাকিস্তান উত্তরাধিকার সূত্রে একটি রাষ্ট্র পেয়েছে, যেখানে শক্ত রাষ্ট্র কাঠামোর ভেতরে একটি দুর্বল বুর্জোয়া জনগোষ্ঠী গ্রহীতা-দাতার সম্পর্কে বিন্যস্ত। দেশটি অনিবার্যভাবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ও কর্তৃত্বমূলক গোষ্ঠীর মাধ্যমে পরিচালিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কৃষি এবং ব্যবসায়িক আয়কে করের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রচুর শিল্প-কারখানা যেকোনও ধরনের শুল্ক থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত। আমাদের পার্লামেন্টে আধিপত্য ভূস্বামীদের, ফলে কৃষি আয়করের বিষয়টিকে নাকচ করে দেওয়ার বিষয়টি আশ্চর্যজনক নয়। তবে এর ফলে কৃষি ও শিল্প খাতে কম করের কারণে সামগ্রিক করের আওতা ছোটই থেকে গেছে।
বাংলাদেশের উদাহরণ অনুসরণ করে পাকিস্তানি নেতৃত্বকে অবশ্যই জাতীয় লক্ষ্য হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ অনুসরণ করতে হবে এবং আঞ্চলিক শান্তির পাশাপাশি সাংবিধানিক শাসনকে এগিয়ে নিতে হবে।
কার্যকর প্রতিরক্ষার সঙ্গে আপস না করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। আঞ্চলিক বাণিজ্য উদারীকরণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ভারত, ইরান, চীন, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। এছাড়া রফতানি বৃদ্ধির মডেল তৈরির ক্ষেত্রে উচ্চ-মূল্য-সংযোজিত পণ্যের ওপর ফের জোর দেওয়া উচিত।
পাকিস্তান তুলনামূলক সস্তা শ্রমের যে সুবিধা ভোগ করছে, সেটিকে উন্নত দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে নারীদের জন্য শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের জন্য একটি নিরাপদ এবং অনুকূল আইনি পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কৃষি আয়ের ওপর একটি ন্যায্য কর আরোপের শক্তিশালী প্রচেষ্টা থাকা প্রয়োজন। ধনী শিল্প প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই জাতীয় সম্পদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের যথাযথ অবদান রাখতে হবে। বড় করপোরেট ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোকে করের আওতায় আনতে হবে।
পাকিস্তানের নেতৃত্ব বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তবে প্রধান পদক্ষেপটি হওয়া উচিত— অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারের বিষয়টি অনুসরণ করা, যা প্রতিরক্ষা এবং গণতন্ত্র উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
খবর: বাসস

- কয়রায় হরিণের মাংস উদ্ধার
- ফুলতলায় ট্রাক চাপা পড়ে হেলপার নিহত
- খুলনার ফুলতলায় ইউপি সদস্যসহ পরোয়ানাভুক্ত ৮ আসামি গ্রেপ্তার
- খুলনার বাজার দর নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট
- ফকিরহাটে গাছের সাথে মটরসাইকেল ধাক্কা, স্কুলছাত্র নিহত
- একই সময়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সভা, কেএমপির নিষেধাজ্ঞা
- বিষ দিয়ে মাছ শিকার করলে সুন্দরবন মৎস্যশূন্য হয়ে যাবে: হাইকোর্ট
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লো
- বঙ্গোপসাগরে ফের লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
- বর্তমান সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর
- খুলনায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামীসহ আটক ২
- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কোন স্থান হবে না
- বিএনপি-জামায়াত জোটকে প্রতিহত করতে মাঠ ছাড়বে না বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা
- শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি শুভ জন্মাষ্টমী আজ
- অ্যাম্বুলেন্সে রোগীর পরিবর্তে মিলল দেড় হাজার পিস ইয়াবা !
- সরকারি ভবনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহারের নির্দেশ
- খেলা হবে নির্বাচনে, খেলা হবে রাজপথে : কাদের
- সামরিক শাসনামলে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে বাংলাদেশ
- খুলনা শিপইয়ার্ডে জাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রণে
- কয়রায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি
- খুলনায় নকল গুড়ের কারখানায় অভিযান, জরিমানা
- পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটনভিত্তিক বিনিয়োগ জরুরি
- পাঁচ দিনের স্বেচ্ছাশ্রমে কয়রার বাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন
- রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ধরতে বললেন মিশেল
- তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা: বাণিজ্যমন্ত্রী
- মালদ্বীপ দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত
- ১৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক ১
- সিরিজ বোমা হামলার ১৭ বছরপূর্তি আজ
- সুন্দরবনে অবৈধভাবে মাছ ধারার সময় ১২ জেলে আটক
- আশ্বাসে আন্দোলন ছেড়ে হলে ফিরলেন খুবি শিক্ষার্থীরা
- ডুমুরিয়ায় বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে চালক ও গরুর মৃত্যু
- বড়পুকুরিয়ায় তিনমাস পর কয়লা উত্তোলন শুরু
- খুলনায় বিজেএমসি’র আঞ্চলিক কার্যালয় গরু-ছাগলের গোয়ালে পরিণত!
- জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
- ডুমুরিয়ায় পিতার হাতে কন্যা খুন
- খুলনা বিজেএমসির জোনাল অফিস এখন ছাগলের খামার
- প্লেনের খাবারে মিলল সাপের কাটা মাথা
- খুলনায় পারিবারিক কলহে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তন
- রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা বোঝাই প্রথম জাহাজ মোংলা বন্দরে
- ‘আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ পেল বাংলাদেশ
- খুলনায় ১৫ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও মেলা শুরু
- পাইকগাছায় সীমানা পিলারসহ প্রতারক চক্রের ৫ সদস্য আটক
- খুলনার বৃক্ষমেলায় কিনার ধুম এজন্য মেয়াদ বাড়ানোর দাবি
- খুলনার দিঘলিয়ায় অস্ত্র ও গুলিসহ আটক ২
- শ্বাশুড়ির সাথে মনমালিন্য, রূপসা ব্রীজ থেকে লাফ দিলেন পুত্রবধু
- খুলনাঞ্চলে আইটি ব্যবসার অপার সম্ভাবনা
- খুলনায় চোরাই ৫ টি মোটরসাইকেলসহ দুই চোর গ্রেফতার
- বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন মারা গেছেন
- খুলনায় দেশের প্রথম বিদ্যুতের মডেল সাবস্টেশন উদ্বোধন
- যুদ্ধাপরাধে খুলনার ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
