• শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৮ ১৪৩১

  • || ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের খুলনা

কীভাবে এবং কখন মধু খেলে উপকার পাবেন

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৪  

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ মধু শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। যেকোনো ঋতুতেই মধু খাওয়া স্বাস্থ্যকর। কেউ সর্দি-কাশি কমানোর জন্য মধু খান, কেউ আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খান। খাঁটি মধুতে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, বেশ কিছু ভিটামিন ও খনিজ থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মধু হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। শরীরের যে কোনও প্রদাহ কমাতেও মধুর জুড়ি নেই।

অনেকেরই প্রশ্ন, মধু কখন ও কী ভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। পুষ্টিবিদদের মতে, দিনের যে কোনও সময়ই মধু খাওয়া যাবে। তাতে কোনও সমস্যা নেই। তবে দিনের বেলা মধু খেলেই বেশি ভালো। তবে এই নিয়ম যে সকলের জন্যই প্রযোজ্য তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে মধু রাতেও খাওয়া যায়।

পুষ্টিবিদদের মতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস হালক গরম পানিতে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাবেন। এতে একদিকে যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই হজমশক্তিও বাড়বে। সকাল থেকেই শরীর তরতাজা থাকবে, ক্লান্তিভাব কমবে। যদি কারও অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তা হলে লেবু বাদ দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা এক চামচ মধু এমনিই খেয়ে নেবেন। এতে সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে কমে যাবে। মধু খেলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।

শরীরচর্চা করার আগে বা পরে মধু খেলে শরীর তরতাজা থাকে। সাধারণত, শরীরচর্চা করার পরে ক্লান্তিভাব বাড়ে। তখন মধু খেলে শরীরে জোর পাওয়া যাবে। আবার যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা রাতে শোয়ার আগে এক চামচ মধু খেতে পারেন। এতে শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যাবে, হজমের গোলমাল থাকলে তা ঠিক হবে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। তবে ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে মধু না খাওয়াই ভালো।

অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকায় মধু ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। খাদ্যনালিতে সংক্রমণ হলে তার জন্যও মধু উপকারী। অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব কমায় মধু। তবে মধু এক বা দু’চামচের বেশি কোনোভাবেই খাওয়া ঠিক নয়। নবজাতকদের কোনোভাবেই মধু খাওয়ানো ঠিক নয়। এতে অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। দুই বছরের পর তাদের মধু খাওয়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে মধুটা খাঁটি হওয়া জরুরি।

আজকের খুলনা