জাহাজে উৎপাদন হচ্ছে ইলিশের পোনা
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
ইলিশের কৃত্রিম প্রজননে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। পুকুরে ইলিশ চাষের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার 'অন বোট ব্লিডিং' পদ্ধতিতে পোনা উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। প্রজনন মৌসুমে সাগরে থাকা জাহাজে মিনি হ্যাচারি তৈরি করে জীবিত পুরুষ ও স্ত্রী ইলিশ রেখে গবেষণা করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি সফল হলে নদীতে ছাড়া যাবে ইলিশের পোনা। এতে বাড়বে উৎপাদন। এ কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি নিয়ে বেশ আশাবাদী বিজ্ঞানীরাও।
১৯৮৮ সালে সরকারি অর্থায়নে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট চাঁদপুরের নদীকেন্দ্রের দুটি পুকুরে ইলিশ চাষের প্রথম উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সে সময় ব্যর্থ হওয়ায় ১৯৯৫ সালে সেই প্রকল্প বাতিল করা হয়। এরপর ২০০৪-০৫ অর্থবছরে পুকুরে ইলিশ চাষ বিষয়ে গবেষণা হয়। কিন্তু তখনও তেমন সফলতা আসেনি। এরপর ২০১০-১১ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে 'জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও গবেষণা' প্রকল্পের অধীনে গবেষণা শুরু হয়। তখন গবেষণার জন্য নদী-সাগর থেকে ৮-১২ সেন্টিমিটার আকারের দুই হাজার ২০০ ইলিশের পোনা সংগ্রহ করে ইনস্টিটিউটের তিনটি পুকুরে ছাড়া হয়। এর এক বছর পর মাছগুলো পরীক্ষা করে দেখা যায়, মাছের বৃদ্ধির হার খুবই কম। ডিমগুলোও অপরিপকস্ফ। পরবর্তী সময়ে ২০১৫-১৬ সালে ওয়ার্ল্ড ফিশ সংস্থার ইকোফিশ প্রকল্পের অধীনে ইউএসএইডের অর্থায়নে আবারও গবেষণা শুরু হয়। কিন্তু সেটিও সফল হয়নি।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (নদীকেন্দ্র) ড. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা ২০১০-১১ অর্থবছরে নদী ও সাগর থেকে ৮-১২ সেন্টিমিটার আকারের ইলিশের পোনা এনে ইনস্টিটিউটের পুকুরে ছাড়ি। এক বছরের মধ্যে ওই মাছগুলো বেড়ে প্রায় ৩০০ গ্রাম হয়। এ সময়ে নদী ও সাগরে থাকলে ইলিশগুলোর ওজন হতো ৪৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম। গবেষণার সময় পুকুরে থাকা মাছের পেটের ডিমও আমরা দেখি। কিন্তু পরীক্ষা করে দেখা যায়, ডিমগুলো অপরিপকস্ফ। পুকুরে চাষ করা ইলিশ সম্পূরক খাবার খায় না। প্রাকৃতিক খাবার খায়। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তী সময়ের গবেষণায় পুকুরের ইলিশগুলো প্রাকৃতিক খাবার তৈরি করে দিয়ে দেখেছি। এর ফলে আগের চেয়ে কিছুটা ভালো হলেও তা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করার মতো নয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে হলে আরও ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। তবে, পুকুরে ইলিশ চাষ একেবারেই অসম্ভব নয়। এখনও চাইলে যে কেউ পুকুরে ইলিশ চাষ করতে পারবেন। ৮-৯ মাস টিকে থাকবে সে ইলিশ, সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রামের মতো ওজন হবে।
'অন বোট ব্লিডিং' পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রজনন অঞ্চল বাছাই করে জীবিত পুরুষ ও স্ত্রী ইলিশ ধরে জাহাজের হ্যাচারিতে রাখা হচ্ছে। হরমোন ইনজেকশন দিয়ে স্ট্রিপিংয়ের মাধ্যমে অথবা স্বাভাবিক উপায়ে পরিপকস্ফ করে পুরুষ ইলিশ থেকে স্পার্ম বের করে ট্রায়াল দিচ্ছি। এরই মধ্যে ফার্টিলাইজেশন (নিষিক্তিকরণ) হয়েছে। সাধারণত ফার্টিলাইজেশনের পর ১৬টি ধাপ পার হলে ইলিশের পোনা নদীতে ছাড়ার উপযোগী হয়। কিন্তু নবম ধাপ পর্যন্ত আসার পর আর তাদের টিকিয়ে রাখতে পারছি না। পোনাগুলো মারা যাচ্ছে। আমাদের আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ পদ্ধতির সফলতা নিয়ে আমি আশাবাদী।
অন বোট ব্লিডিং পদ্ধতির বিষয়ে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, ইলিশের কৃত্রিম প্রজনন খুবই স্পর্শকাতর। ইলিশের প্রজনন রুই-কাতল কিংবা অন্য মাছের মতো নয়। আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হতে পারিনি। ইলিশের আসল স্বাদ-গন্ধ রেখে কৃত্রিম প্রজনন একটু কঠিন। তার পরও আমরা চেষ্টা করছি। সর্বশেষ কৃত্রিম প্রজননের জন্য অন বোট ব্লিডিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। জাহাজের মধ্যেই মিনি হ্যাচারি তৈরি করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রজনন মৌসুমে সাগর অথবা নদী থেকে পুরুষ ও স্ত্রী ইলিশ রাখছি। সব ধাপ অতিক্রম করে পোনা নদীতে ছাড়া গেলে, তখন উৎপাদন আরও বাড়বে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ইলিশ রক্ষায় সরকার এ পর্যন্ত যে কটি পদক্ষেপ নিয়েছে, তার প্রতিটি বিজ্ঞানসম্মতভাবে নেওয়া হয়েছে। আর এর বাস্তবায়নও বেশ কঠোরভাবে করা হয়েছে। এর সুফল পাওয়া গেছে। গবেষণায় ইলিশের নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচনে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- সিঙ্গাপুর থেকে ২ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে:শিল্পমন্ত্রী
- সাতক্ষীরায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আরোহী নিহত
- বাগেরহাটে বালু বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত
- গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা: খুবি উপকেন্দ্রে ৮৮৮৬ পরীক্ষার্থী
- খুলনা যুবলীগ সভাপতির ছাতা পেয়ে নৌকার মাঝিরা খুশি
- খুলনার ১৪৩তম জন্মদিন আজ
- ১৪৩তম খুলনা দিবস পালিত
- হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়ছে আরও তিন দিন
- শপথ নিলেন নবনিযুক্ত আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি
- আমার শরীর সুন্দর, তাই তারা পিছু ছাড়ে না : নোরা ফাতেহি
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরমে মাথায় হাত মুরগি খামারির, আম চাষিরাও চিন্তায়
- স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত শনিবার
- মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হলো ২৮৮ সেনা-বিজিপিকে
- দুবাইয়ের পর এবার মক্কা-মদিনায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
- হজ পারমিট দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
- উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে
- নিজেকে এখন প্রাণভরে দেখি : পরীমণি
- বিএনপি আন্দোলনেব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে:কাদের
- ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি: এলজিআরডি মন্ত্রী
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- বিএসইসির আদেশ জারি
৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না - বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান : মেয়র, ডিএসসিসি
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়া
আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- বগুড়ায় সিনেমা হলে টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- তাপদাহ নিয়ে যা জানালেন হিট অফিসার
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?