হারিকেনের আলোয় ফুটছে হাঁসের বাচ্চা
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২১
মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের হ্যাচারি পল্লী নামে পরিচিত কোঠুরীকোণা গ্রাম। হারিকেনের আলোতে হাঁসের বাচ্চা ফুটানো গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের পেশা। তুষ ও হারিকেন পদ্ধতিতে প্রতিদিনই ফুটছে হাঁসের লক্ষাধিক বাচ্চা। এখানকার হাঁসের বাচ্চা চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রেতারা ভিড় জমায় হ্যাচারি পল্লীতে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়েও পিছিয়ে নেই হ্যাচারি পল্লীর লোকজন। অনলাইনে অর্ডার করলেও নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় হাঁসের বাচ্চা।
প্রাকৃতিক উপায়ে মুরগী ডিমে তাপ দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। সেখান থেকেই হয়তো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ডিম ফোটানোর যন্ত্র ইনকিউবেটরের আবিষ্কার। ব্যবসার জন্য একসঙ্গে অধিক পরিমাণে ডিম ফোটানোর ক্ষেত্রে ইনকিউবেটরের বিকল্প নেই। এর জন্য প্রয়োজন বিদ্যুৎ। কিন্তু কোঠুরীকোণা হ্যাচারি পল্লী হাওরাঞ্চল হওয়ায় বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং হয়। তাছাড়া অনেকের এই যন্ত্রটির কেনার সামর্থ্য না থাকায় তারা এটি ব্যবহার করতে পারছে না। তাই তারা তুষ ও হারিকেনের আলোতে হাঁসের বাচ্চা ফুটিয়ে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন করেছেন। প্রথমে ভালো জাতের হাঁসের ডিম সংগ্রহ করেন হ্যাচারি খামারিরা। ডিম সংগ্রহের পর সেগুলো পানিতে পরিষ্কার করে রোদে শুকানো হয়। এরপর বাছাই করা ডিম মাটি বা ইটের তৈরি পাকা ঘরের মধ্যে বাঁশের মাচায় সারিবদ্ধভাবে রেখে তোশক বা মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। মাচার নিচে হারিকেন বসিয়ে পরিমাণমতো তাপ দেওয়া হয়। ২৫ দিন পর ডিমগুলো ফুটতে শুরু করলে কাপড়ের আবরণ তুলে নেওয়া হয়। ২৮ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়। প্রতিটি একদিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদনের সংখ্যা একেবারে কম নয়। ছোট হলেও এসব উদ্ভাবন দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। এগুলো মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনেও সহায়ক বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
এক সময় ওই গ্রামের লোকজন কাজের সন্ধানে এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতেন। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটত তাদের। ১৯৯০ সালের দিকে কোঠুরীকোণা গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে হাদিস মিয়া প্রথমে নিজ বাড়িতে তুষ ও হারিকেনের আলোর পদ্ধতিতে ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চা ফুটানো শুরু করেন। পরে গ্রামের শতাধিক লোকজন হাদিস মিয়ার সহযোগিতায় ওই পদ্ধতি অবলম্বন করেন। এ গ্রামে বেকার বলতে কাউকে চোখে পড়ে না। প্রত্যেকটি পরিবারে ছেলে-মেয়েরা ওই পেশায় নিয়জিত রয়েছেন। এরই মধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছেন গ্রামের অধিকাংশ পরিবার। হ্যাচারি পল্লী কোঠুরীকোণার ইয়াসিন মিয়া এ পদ্ধতি শিখে স্বপ্ন জয় করেছেন।
ইয়াসিন মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সাত সদস্যের পরিবার। কাজের সন্ধানে এক সময় এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াতাম। ভাগ্য ফিরাতে বড় ভাই হাদিস মিয়া আমাকে হাঁসের ডিম ফুটানোর ব্যবসা শুরুর পরামর্শ দেন। এরপর তার সহযোগিতায় এক হাজার ডিম কিনে তুষ ও হারিকেনের আলোয় বাচ্চা ফুটিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে তা বিক্রি করি। লাভজনক হওয়ায় উৎপাদন দিন দিন বাড়াতে থাকেন। পরে পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা এসে আমার কাছ থেকে এক দিন বয়সের হাঁসের বাচ্চা কিনে তা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতে থাকেন। বাংলাদেশ প্রাণি গবেষণা কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি দল আমার হ্যাচারি খামার পরিদর্শন করেন। তারা পদ্ধতি উন্নয়নের পরামর্শ দিলে সেই পরামর্শ অনুযায়ী ডিম থেকে হাঁসের বাচ্চা ফুটাতে শুরু করি। এরপর থেকেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে।
তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, কোঠুরীকোণা গ্রামের মানুষের পেশা হাঁসের বাচ্চা ফুটানো। এ গ্রামের অধিকাংশ পরিবার এখন স্বাবলম্বী। এ পেশার লোকজনের উন্নতির জন্য সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুদ করিম সিদ্দিকী বলেন, কোঠুরীকোনা গ্রাম হ্যাচারি পল্লী হিসেবে পরিচিত। এ গ্রামের ছোট বড় সববয়সের মানুষ তুষ ও হারিকেনের পদ্ধতিতে বাচ্চা ফুটাতে পারেন। আমরা বিভিন্ন সময়ে এ গ্রামের লোকজনদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি।
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু টানেলে জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- খুলনা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে, সর্বোচ্চ চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৩
- বাগেরহাটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- জলবায়ু পরিবর্তনে অধিক ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
- ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে কেন
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
- বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কোন মামলা নেই:প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...
- ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন, পলকেই নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ
- টানা দুইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়, হিট এলার্ট জারি
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- খুলনায় দেশের শ্রেষ্ঠ ২ জাতের ধান চাষে বাম্পার ফলন
- সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা সিন্দাইনী আর নেই
- নগরীতে ভবন নির্মাণে মাটি খুঁড়তে গিয়ে মিললো গ্রেনেড
- বাগেরহাটে প্রাণি সম্পদ মেলা
- বিছানার ভেলায় চড়ে সদাই কিনছেন শারজাহবাসী
- সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে: কাদের
- ৫ লাখ টাকায় সালমানের বাসায় গুলির নির্দেশ!
- দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি
- তেরখাদায় বাংলা নববর্ষ ও ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে সালাম মূর্শেদী
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- চলন্ত মেট্রোতে দুই তরুণীর রং মাখামাখি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- মসজিদের ভেতর ৫৪০ বছরের পুরোনো ‘জিনের মসজিদ’
- ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করবেন
- এ বছরের ফিতরা কত জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- রমজান মাসে কি কবরের আজাব মাফ থাকে?
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- রাসুল (সা.) রোজা অবস্থায় যেসব কাজ পরিহার করতে বলেছেন
- দাদার সাথে কী কথা হলো মুস্তাফিজের?