• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনার সেই প্রতারক মনিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২১  

নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে ফাঁসানোর চেষ্টাকারী চক্রের হোতা গ্রেফতার প্রতারক সেই ফরিদা ইয়াসমিন মনি (৪২) কে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাহীদুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন। দুপুরে তাকে সদর থানা পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছেন।

গ্রেফতার হওয়া প্রতারক মনি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধিন করিম নগর মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল ওহাব খাঁনের মেয়ে। সে বসুপাড়া কবরখানা এলাকার টাওয়ার ওয়ালা গলির শহিদুল ইসলামের বাড়ির ৫তলায় ভাড়া থাকেন। গত ২৪ নভেম্বর রাতে ওই বাড়ি থেকে মনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৬ সদস্যরা। এছাড়াও প্রতারক ফরিদা ইয়াসমিন মনি প্রতারণার জন্য দেবেনবাবু রোড এলাকা, ঢাকার রমনা থানাধিন মধুবাগ গলির বাড়ী নং ৪৫৯ (স্টার লজ), ঢাকার মুগদা থানার সবুজবাগ দক্ষিণ মান্ডা, চাঁন মিয়া গলির কাওসার আহম্মেদের ভাড়া বাসাসহ আরও একাধিক ঠিকানা ব্যবহার করেন।

ওই মামলার বাকী ৪ জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জন পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই অলিয়ার রহমান

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা গেছে, তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প জালিয়াতি করে খুলনার সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানের নামে একটি অঙ্গিকার নামা তৈরি করে এ প্রতারক চক্রটি। ওই অঙ্গিকারনামায় বলা হয়, ফরিদা ইয়াসমিন মনি নামের এক নারীর সন্তান উদ্ধারের কথা বলে সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ান ৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। এ অঙ্গিকারনামাটি ব্যবহার করে ওই চক্রটি সোহাগ দেওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে।

এরপর প্রাথমিকভাবে প্রমান মেলে তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তৈরি করা অঙ্গিকারনামাটি ২০১৮ সালের ৪জানুয়ারির তারিখে দেখানো হলেও সেটি আসলে ২০২০ সালে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে বিক্রি হয়েছে। আসামিরা সাংবাদিক সোহাগ দেওয়ানকে ফাঁসানোর জন্য এই জাল জালিয়াতি করেছেন। সহকারি নিয়ন্ত্রক (স্ট্যাম্প) প্রধান কার্যালয় ও পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের ট্রেজারী শাখার লিখিত তথ্যমতে এ সত্যতা বেড়িয়ে আসে।

এঘটনায় গত ১৫ নভেম্বর খুলনার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করতে কেএমপি’র সদর থানাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ হাতে পেয়ে খুলনা সদর থানায় প্রতারক চক্রের প্রধান ফরিদা ইয়াসমিন মনিসহ ৫জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩/৪জনের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয়। দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৩৮৫, ১০৯ ও ৫০৬ ধারায় গত ১৯ নভেম্বর মামলাটি রেকর্ড করে পুলিশ (নং-৩৪)।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা