• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনা এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টারের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২২  

বেজমেন্ট থেকে শুরু করে উপরের ১২তম তলার কাজ শেষ। এখন চলছে ১৩তম তলার ছাদ ঢালাইয়ের প্রস্তুতি। ছাদ ঢালাইয়ের মধ্যদিয়েই উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ কাজ শেষ হতে যাচ্ছে। এরপর অভ্যন্তরীন সাজসজ্জা শেষেই প্রস্তুত হবে খুলনা শহরে এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। নির্মাণ কাজ শেষেই বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এ ভবনটি। তারপরই শুরু হবে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
খুলনা মহানগরীর ৬২ নম্বর শামসুর রহমান রোডে নির্মিত ১৪৬ কোটি ২৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রায় ৬১ শতক জমির ওপর নির্মিতব্য সর্বমোট ১৫ তলা বিশিষ্ট এ ভবনে থাকছে ৭৫টি গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, ১১২জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ৬৬টি বেডরুম, চারটি কনফারেন্স ও মিটিং রুম, একটি সেমিনার হল, একটি সেমিনার গ্যালারি, একটি ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, একটি এক্সিবিশন স্পেস, একটি জিমনেশিয়াম, একটি ইনডোর গেম, একটি ক্যাফে এন্ড পেনট্রি, চারটি লেকচার রুম, দু’টি কম্পিউটার ল্যাব, একটি লাইব্রেরী, একটি সুইমিং পুল, একটি রেস্টুরেন্ট এবং একটি নামাজের স্থান।
খুলনা কনভেনশন সেন্টারটি নির্মাণ হলে সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, কর্মশালা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদির আয়োজন ছাড়াও দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের আবাসনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক উপ-সচিব আবু সায়েদ মো: মনজুর আলম জানান, ইতোমধ্যে দু’টি বেজমেন্টসহ ১৩ তলার ফ্লোর ঢালাই এবং সি ব্লকের ৫ম তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ১৩ তলার ছাদের সাটারিং এবং রড বাইন্ডিং এবং ১০ তলা পর্যন্ত ইটের গাথুনী, প্লাস্টার ও ইলেকট্রিক্যাল কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের মোট কাজের ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও তিনি জানান। ঢাকার ন্যানশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লি: এন্ড পার্টনার ইন চার্জ অফ জয়েন্ট ভেঞ্চার জে,কে,বিএন্ড কোম্পানী প্রাইভেট লিমিটেড নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।
বাস্তবায়নকারী সংস্থার সূত্রটি বলছে, ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে(একনেক) অনুমোদিত হয়। যার প্রশাসনিক অনুমোদন হয় ওই বছরেরই ৪ ফেব্রুয়ারি এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাস্তুকল্প আর্কিটেক্টস লিমিটেড’র সাথে চুক্তি হয় ১৮ এপ্রিল। একই বছরের ২৭ নভেম্বর দরপত্র আহবান এবং সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ক্রয় বিভাগে অনুমোদন হয় ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ। এরপর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল ঠিকাদারের সাথে চুক্তির মধ্যদিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু কাজ শুরুর এক বছরের মাথায় করোনার প্রকোপ দেখা দেয়ায় কিছুটা বিঘœ ঘটে। এজন্য প্রকল্পের মেয়াদও বৃদ্ধি করা হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। যদিও আগামী জুন পর্যন্ত আরও এক দফায় মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যেও কাজটি শেষ নাও হতে পারে বলে নির্মাণকারীদের আশংকা রয়েছে। তবে আগামী বছর ডিসেম্বর নাগাদ ভবনের পরিপূর্ণ কাজ শেষ করে বাস্তবায়নকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা যাবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ। এমনটি জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ২০২৪ সাল থেকে মূলত: এ ভবনের সুফল ভোগ করতে পারবে খুলনাবাসী।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু সায়েদ মো: মনজুর আলম প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ, এস, এম তারিকুল হাসান খানকে প্রেষণে পদায়নের মাধ্যমে এ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্রয় কমিটিতেও রয়েছেন খুলনার কেডিএ, কেসিসি, ওজোপাডিকো, গণপূর্ত অধিদপ্তর, এলজিইডিসহ কয়েকটি দপ্তরের প্রতিনিধিরা। অর্থাৎ সাত সদস্যের ক্রয় কমিটির মতামতের ভিত্তিতেই মান সম্মত মালামাল ক্রয়ের মধ্যদিয়ে ভবনটির সাজসজ্জা করারও প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক আবু সায়েদ মো: মনজুর আলম।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা