• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

স্ত্রীর নিয়োগে জালিয়াতি প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২  

যশোরের চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্ত্রীকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে সার্টিফিকেট জালিয়াতি, নিয়োগ বোর্ডের রেজুলেশন জালিয়াতি, রেজুলেশনে ফ্লুইড দিয়ে পদের নাম পরিবর্তন, ভুয়া নিয়োগ দেওয়া, তথ্য গোপন করে মানথলি পেমেন্ট অর্ডারভুক্ত (এমপিওভুক্ত) করানোসহ নানা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় রবিবার সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।একই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তে উপজেলার জেএইচডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া মোছাম্মাৎ খাদিজা খাতুন প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবীরের স্ত্রী। এছাড়াও সুমন মণ্ডল নামে আরেক সহকারী শিক্ষককেও একই ভাবে নিয়োগ দিয়েছেন ওই প্রধান শিক্ষক।

রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা দিয়ে বলেছেন, আমরা মে-২০২২ সালের এমপিও সিট দেখে জেনেছি ‘মোছাম্মাৎ খাদিজা খাতুন এবং সুমন মণ্ডল নামে দুইজন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছে। আমরা পূর্বে কখনো তাদের বিদ্যালয়ে দেখিনি, চিনিও না এবং শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাদের কোনো স্বাক্ষর নাই।

বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও হাকিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হাসান বলেন, নিয়োগ ও এমপিওভুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে আমার অগোচরে করা হয়েছে। আমার কাছে মে-২০২২ মাসের বেতন বিলে স্বাক্ষর করতে গেলে বিষয়টি প্রথমে আমার নজরে আসে। পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তিনি নিজের স্ত্রী এবং অন্য একজনকে নিয়োগ দিয়েছেন এবং এমপিওভুক্তি করিয়েছেন। রবিবার (১২ জুন) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তাকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়া জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া দুই শিক্ষকের নাম বাদ দিয়ে বেতন বিলে স্বাক্ষর করা হয়েছে।

এর আগে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য প্রমাণসহ চৌগাছা উপজেলার মাঠচাকলা গ্রামের মামুন কবির যশোরের জেলা প্রশাসকের কাছে ওই প্রধান শিক্ষক ও তার স্ত্রী মোছাম্মাৎ খাদিজা খাতুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন। আবেদন ও তথ্য প্রমাণের অনুলিপি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা, যশোর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন তিনি।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা