অপপ্রচার করাই হচ্ছে বিএনপি’র মূল সম্পদ : শেখ হারুন

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, অপপ্রচার করাই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের মূল সম্পদ। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়না বরং দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা স্বপ্নের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলি ট্যানেলসহ বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিথ্যা অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছে। এটাই এখন তাদের রাজনীতির মূল সম্পদ। 

বুধবার বিকেল তিনটায় দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় (মুলতবি সভা) জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশীদ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারির পরিচালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে, সহ-সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. সোহরাব আলী সানা, এড. কাজী বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এম এম মুজিবর রহমান, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান,  নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি, আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, এড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, বি এম এ ছালাম, মোস্তফা কামাল খোকন, এড. অধ্যাঃ  নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, এড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, ইঞ্জিনিয়ার প্রেম কুমার মন্ডল, খালেদীন রশীদী সুকর্ণ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এম এ রিয়াজ কচি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. নব কুমার চক্রবর্তী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল,  ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. তারিক হাসান মিন্টু,  বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এড. শাহ আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ রকিকুল ইসলাম লাবু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রাশেদুল ইসলাম রাসেল, শ্রম সম্পাদক মোজাফ্ফর মোল্লা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা  মোখলেসুর রহমান বাবলু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শেখ শহীদ উল্লাহ্, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল আলম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, কোষাধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জি এম মাহবুবুল আলম, সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, শেখ মনিরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম খান, শেখ আকরাম হোসেন, শেখ আবুল হোসেন, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, জি এম মহসিন রেজা, শেখ শহিদুল ইসলাম, গাজী এজাজ আহম্মেদ, অধ্যক্ষ ফ ম ছালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বিলকিস আক্তার ধারা, ফারহানা হালিম, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, ফারজানা নিশি, আনিসুর রহমান মুক্ত, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান, এফ এম অহিদুজ্জামান, মোল্লা আকরাম হোসেন, কে এম আলমগীর হোসেন, সরদার আবুল কাশেম ডাবলু, বিনয় কৃষ্ণ রায়, দিলীপ হালদার, শেখ কামরুল হাসান টিপু, শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়ারদার, মৃনাল হাজরা, নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রিসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভার সিদ্ধান্ত নিম্নরূপ : সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জননেতা বি এম মোজাম্মেল হকের উপস্থিতি ও নির্দেশনায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে  ৮টি উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারন করা হয়। উপজেলা গুলির নাম ও তারিখ ; কয়রা উপজেলা ১৫ ফেব্র“য়ারি, দাকোপ উপজেলা ১৬ ফেব্র“য়ারি, ডুমুরিয়া ১৯ ফেব্র“য়ারি, বটিয়াঘাটা ২০ ফেব্র“য়ারি, ফুলতলা ২৩ ফেব্র“য়ারি, দিঘলিয়া ২৬ ফেব্র“য়ারি, রুপসা ২৭ ফেব্র“য়ারি ও তেরখাদা উপজেলা ২৮ ফেব্র“য়ারিতে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য স্ব-স্ব উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান রিপনের লিখিত জবাব সন্তোষ জনক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার পূর্বক তাকে স্বপদে বহাল থেকে দলীয় কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।