• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

খুলনায় লটারীর নামে জুয়া, সর্বশান্ত সাধারণ মানুষ

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৬ জানুয়ারি ২০২৩  

খুলনায় একজন প্রতিমন্ত্রীর দোহাই দিয়ে লটারীর নামে রমরমা জুয়া চলছে। অনুমোদন না থাকলেও পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সাধারণ মানুষ মোটরসাইকেলসহ বড় বড় পুরষ্কারের আশায় হাজার হাজার টাকার লটারী কিনে সর্বশান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন রাত ১১ টায় জাঁকজমকের সাথে প্রকাশ্যে মাইক বাজিয়ে লটারীর ড্র অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সমগ্র খুলনায় প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে। 

সূত্র জানায়, সপ্তাহ খানেক আগে নগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা সবজু সংঘ মেলাকে কেন্দ্র করে এই লটারী নামক জুয়া শুরু হয়। আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্লাবের ভবন নির্মাণে অর্থ সংগ্রহের জন্য সীমিত আকারে লটারীর আয়োজন করা হয়েছে।এই ক্লাবের সাথে একজন প্রতিমন্ত্রী জড়িত রয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাবলা সবুজ সংঘ মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত নগরীর বিভিন্ন স্থান ও উপজেলাগুলোতে সকাল থেকে কমপক্ষে ৫০ টি ইজিবাইকে করে লটারী বিক্রি হয়। ২০ টাকা মূল্যমানের লটারিতে মোটরসাইকেলসহ নানা আকর্ষণীয় পুরস্কারের প্রলোভন দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, চায়ের দোকানদার, মুদি দোকানদার, দিন মজুরসহ নানা পেশাজীবী মানুষ লটারীর পুরস্কারের আশায় প্রতিদিন হাজারও টাকার লটারি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। এ ছাড়া মেলার লটারির ড্র হচ্ছে গভীর রাত পর্যন্ত। যার ফলে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতাও বেড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্যন্ত ঠিক ছিল। তবে লটারীর কারণে অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার ফলে সংসারে অশান্তি বাড়ছে।

কেসিসির ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স বলেন, পাবলা সবুজ সংঘ ক্লাবের নির্মাণ কাজের সাহায্যের জন্য লটারীর আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া এ ক্লাবের সঙ্গে একজন প্রতিমন্ত্রী জড়িত, সুতরাং এখানে অবৈধ কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।

পাবলা সবুজ সংঘ ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তরফদার মনিরুল ইসলাম বলেন, ক্লাবের উন্নয়নের জন্য লটারি হচ্ছে। মেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং, মাদকসেবী বা যৌন হয়রানির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানান, ১০ দিনের জন্য ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে লটারীর নামে কোনো অবৈধ কাজ হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

কেএমপির ডিসি ডিবি বিএম নুরুজ্জামান জানান, মেলায় লটারির অনুমোদন আছে কিনা এটা জানা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে এটা জেনে বলতে পারব।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা