• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

বাংলার জমিনে ইসলাম বিরোধীদের স্থান হ‌বে না : চরমোনাই পীর

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২২  

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, যারা ইসলামকে ধ্বংস করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আজকে মানুষ স্বতস্ফুর্তভাবে রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। এই বাংলার জমিনে তাদের অবস্থান কখনোই মানুষ হতে দেবে না ইনশাআল্লাহ। এর প্রতিবাদে যদি আমাদের রক্ত দিতে হয় রক্ত দিবো, জান দিবো।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটে বন্যায় মানুষ পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অসহায় অবস্থায় দিন-রাত্রি যাপন করছেন। যদি প্রয়োজনে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে পানিবন্দী মানুষের কাছে সহযোগিতার জন্য পাশে দাড়াবেন।  সাথে সাথে বিত্তবানরা তাদের পাশে দাড়াবেন। এছাড়া বন্যায় পানিবন্দী দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান চরমোনাই পীর।

আজ শনিবার দুপুর ২টায় খুলনা রেলষ্টেশন সংলগ্ন কদমতলা রোডে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের সম্মানিত ১১৬ জন আলেম ও ১০০০ মাদরাসার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের প্রতিবাদ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, শিক্ষা-সিলেবাসে ধর্মীয় শিক্ষার সংকোচন বন্ধ, ইসলাম, দেশ ও মানবতাবিরোধী মদের বিধিমালা বাতিল, স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য-সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

সমাবেশে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বিভাগীয় সমাবেশ দিয়েছিল ঘরের মধ্যে। এই সমাবেশ কি ঘরের মধ্যে হয় ? রাজপথে অবস্থান নিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি, বিভাগীয় সমাবেশ রাস্তায় হয়। আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে। আমরা দাবি আদায় করবো।

বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা শোয়াইব হোসেন দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ এর জয়েন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুফতী মোস্তফা কামাল ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ মুফতী আমানুল্লাহ, অধ্যাপক মাওলনা আব্দুল্লাহ ইমরান, অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম, মাওলানা তাসনীম, ডা. কাজী ওয়ায়েস কুরনী, হা. মনিরুজ্জামান, মুহা. আইউব আলী মিয়া, হাসানুজ্জামান সজিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমাদ আলী, ডা. এইচ এম মোমতাজুল করিম, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, আল: আব্দুল হালীম আলঃ শামসুদ্দিন মোল্লা, মুফতী মাহবুবুর রহমান মাওলনা আবু সাইদ শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, আলঃ মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মুফতী রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা শাইখুল ইসলাম বিন হাসান, আবুল কালাম আজাদ, আলঃ জাহিদুল ইসলাম, মুহা. মেহেদী হাসান, আলঃ আবুল কাশেম, মুহা.সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদি, মুফতী আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ নোমান প্রচার, গাজী ফেরদাউস সুমন, মাওলানা হারুন অর রশিদ, মাওলানা এস.কে নাজমুল হাসান, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, এইচ এম খালিদ সাইফুল্লাহ, মুহা. মইনুদ্দিন, ইনামুল হাসান সাইদ, আলঃ আমজাদ হোসেন, হাফেজ আ: লতিফ, আলঃ আবু তাহের, মাল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, ফরহাদ মোল্লা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, নিজাম উদ্দিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা হাফিজুর রহমান, হায়দার আলী, মুহা. ইমরান হোসেন মিয়া গাজী মুরাদ হোসেন মুফতী হেলাল উদ্দিন শিকারী মাওলানা মাহবুবুর রহমান মুফতী ফজলুল হক।

সমাবেশ পরিচালনা করেন শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, হাফেজ আসাদুল্লাহ গালীব ও মুফতী ইমরান হোসাইন।

চরমোনাই পীরের ঘোষিত ১৫ দফা দাবি

১. যেকোন মূল্যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি রোধ করতে হবে। বাজার কারসাজীর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

২. দেশে মদ ও সকল ধরণের মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পূর্ণ ও আবশ্যিক বিষয় হিসেবে গণ্য করতে হবে।

৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মুসলিম শিশুদের জন্য নামাজ শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৫. শিক্ষা সিলেবাস থেকে চরম নাস্তিকক্যবাদী সকল ধর্মবিরোধী, অবৈজ্ঞানিক ও বস্তাপঁচা ডারউইনের থিউরী বাদ দিতে হবে।

৬. কারান্তরিণ সকল মজলুম আলেম এবং রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।

৭. জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে।

৮. সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

৯. তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের দিন সশস্ত্রবাহিনীর হাতে বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে।

১০. নির্বাচনে সকল দলের জন্যে সমান সুযোগ তৈরী করতে হবে। রেডিও, টিভিসহ সকল সরকারী বেসরকারী গণমাধ্যমে সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে এবং রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের হয়রানী বন্ধ করতে হবে।

১১. দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।

১২. নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।

১৩. রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জাতীয় সংহতি ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির (চ.জ) নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।

১৪. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।

১৫. সকল রাজনৈতিক দলের জন্যে সভা-সমাবেশসহ সাংবিধানিক স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক কর্মসূচী ও বাকস্বাধীনতা উন্মুক্ত করতে হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা