`আমার জীবনের সব তছনছ হয়ে গেছে`
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট ২০২০
'দেখতে দেখতে ১৬ বছর পার হয়ে গেল। ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার সেই দিনটির কথা এখনও স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। সেদিন জঙ্গিবিরোধী শান্তি সমাবেশে হঠাৎ গ্রেনেডের ছোবল অশান্তি বয়ে এনেছিল আমার মতো অনেকের জীবনেই। এক গ্রেনেড হামলায় আমার জীবনের সবকিছু তছনছ হয়ে গেছে।' কথাগুলো বলছিলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশে ইতিহাসের নৃশংসতম গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত সাবেক এমপি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল। আলাপকালে সেদিনের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণের পাশাপাশি তার প্রত্যাশার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
উম্মে রাজিয়া কাজলের ভাষায়, বর্তমানে একরকম জীবন্মৃত হয়ে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। তারপরও একটিই চাওয়া তার জীবনে- যারা এই ঘৃণ্য ও নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের যথোপযুক্ত শাস্তি হোক। বিচারিক আদালতে এই মামলার বিচারের রায়ে মূল হোতাদের অনেকের ফাঁসির রায় হয়েছে, যাবজ্জীবন সাজাও হয়েছে। এই রায়ে সন্তুষ্ট তিনি। এখন তার চাওয়া এটাই, এই রায়টা যেন হাইকোর্টেও বহাল থাকে। রায়টা যেন কার্যকর হয়, সেটা যেন দেখে যেতে পারেন তিনি। তিনি বলেন, এ দেশে দীর্ঘ সময় পরও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও তাদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর হচ্ছে। তাই যত সময়ই লাগুক, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গ্রেনেড হামলাকারীদেরও বিচার করবেন। এই বিশ্বাস নিয়েই এখনও বেঁচে রয়েছেন তিনি।
সেদিনের দুঃসহ স্মৃতির কথা তুলে ধরে কাজল জানান, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের সমাবেশে স্থাপিত ট্রাকের খুব কাছাকাছি জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সামনেই বসা ছিলেন সেদিনের ঘটনায় নিহত আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ অন্য নেতারা। বিকেল ৫টা ২১ মিনিটে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্রই ভয়ঙ্কর শব্দে প্রথম গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটে। সেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টার বৃষ্টির মতো ছিটে এসে তার বাঁ পায়ে আঘাত হানে। এতে পায়ের তালু ও আঙুলগুলো কুঁকড়ে যায়। প্রচণ্ড ব্যথার সঙ্গে তিনি প্রথমে পা ও পরে হাত দিয়ে চেষ্টা করছিলেন কুঁকড়ে যাওয়া তালু সোজা করতে।
রাজিয়া কাজল বলেন, এরপরই একটার পর একটা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটতে শুরু করে। বিকট শব্দে তখন কাঁপতে থাকি। গ্রেনেডের স্প্লিন্টার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করছিল। দেখতে না দেখতেই চারদিক প্রচণ্ড ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। মানুষের চিৎকার-চেঁচামেচি আর আর্তনাদে এক বীভৎস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেখানে। সেই অবস্থায়ই দেখার চেষ্টা করি, নেত্রী (শেখ হাসিনা) কোথায়। দেখতে পাই, নেত্রী নিচু হয়ে বসে আছেন। আর দলের নেতারা তার চারপাশ ঘিরে অনেকটা মানবঢাল গড়ে তুলেছেন।
সাবেক এই এমপি বলেন, এ সময় কীভাবে জানি না পিছিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের বাটার দোকানের সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়ি। এক সময় পেছন থেকে হঠাৎ গুলির আওয়াজ পাই। পেছন ঘুরে দাঁড়িয়ে পড়ি এটা ভেবে যে, যদি গুলিতে মরতেই হয় তা হলে যেন পিঠে নয়, বুকেই গুলি লাগে। এক সময় গুলির শব্দ থামলেও মাথা প্রচণ্ড ঘুরতে শুরু করে। বাবা-মা আর সমাবেশে যোগ দিতে আসার সময় বাসায় রেখে আসা মেয়ে, ছোট ছেলে আর ছোট চাচাতো ভাইয়ের কথা মনে পড়ছিল। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছিলাম, মৃত্যুর আগে যেন ওদের দেখে যেতে পারি।
রাজিয়া কাজল জানান, এরপর আর কিছু মনে নেই তার। অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে শুনেছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রবেশপথে পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। প্রাণ বাঁচাতে অনেক মানুষ তাকে মাড়িয়েই ছোটাছুটি করে চলে যেতে থাকে। এরই মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইমুম সরওয়ার কমলসহ কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে উদ্ধার করে সামনের দিকে নিয়ে যান। এ সময় তিনি কিছুটা হুঁশ পান এবং ওই অবস্থায়ই বারবার নেত্রী শেখ হাসিনা আর আইভি রহমানের অবস্থা জানতে চান। আইভি রহমান তখনও সেখানে আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন। নেতারা তাকে দেখার সুযোগ করে দেন সাবেক এই এমপিকে।
চারদিকে তখন রক্তের বন্যা বইছে। ট্যাক্সিক্যাবে করে নেতাকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে আরও অনেক আহত মানুষের ভিড়ে কোনো জায়গাই ছিল না। তাকে তাই প্রথমে লাশের স্তূপের কাছে রাখা হয়। কিন্তু অনেকক্ষণ কোনো ডাক্তার-নার্স না পাওয়ায় বাইরে এনে একটি ভ্যানে শুইয়ে রাখা হয়। পরে ওই ভ্যানে করেই তাকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ৯টা পর্যন্ত চিকিৎসার পর নেতারা তাকে চাদর দিয়ে ঢেকে ও লুকিয়ে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যান। কেননা প্রকাশ্যে নিয়ে গেলে পুলিশের হয়রানির মুখে পড়ার ভয় ছিল। ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ট্রমা সেন্টারে রেখে চিকিৎসার পর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। পরে ৪ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে গিয়ে একমাস চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
এখন কেমন আছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে যন্ত্রণাকাতর মুখে কাজল বলেন, গত ১৬ বছরে দেশ-বিদেশে বহুবার চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। এসব চিকিৎসার পর শরীর থেকে মাত্র ৩৭টি স্প্লিন্টার বের করা গেছে। এখনও তিনশ'রও বেশি স্প্লিন্টার রয়েছে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে। অনেক স্প্লিন্টার শিরার মধ্যেও ঢুকে গেছে। এই কারণে তার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। শরীরের ভেতরে থাকা এসব স্প্লিন্টারের কারণে সব সময় প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া, কামড়ানো এবং টাটানোর যন্ত্রণা হয় তার। এই যন্ত্রণা দিন দিন বাড়ছেই, যা বলে বোঝানোর নয়। একমাত্র ভুক্তভোগীই বুঝবেন এ যন্ত্রণার কথা।
রাজিয়া কাজল বলেন, 'শরীরে এত ব্যথা যে কোনো কুলকিনারাও পাই না। আগে ছিল এক পায়ে ব্যথা। এখন দু'পায়েই হয়। স্প্লিন্টারবিদ্ধ বাঁ পায়ের কার্যক্ষমতা প্রায় লোপ পেয়েছে। এখন ডান পায়েও ব্যথার কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারি না। কোর্টে যেতে পারি না। ওষুধ খেয়ে ব্যথা কিছু সময়ের জন্য কমে, পরে আবারও ফিরে আসে। জরুরি কাজে বাইরে গেলেও ব্যথা শুরু হওয়ায় দ্রুত বাসায় ফিরতে হয়। বলতে গেলে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই বিছানায় শুয়ে কাটে। রাতে ঘুমানোও কষ্টকর হয়ে পড়ে অনেক সময়। এভাবে মৃত্যুযন্ত্রণা সহ্য করে জীবন কাটছে আমার।'
- খুলনায় বাসে তল্লাশি, ১২ স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- তীব্র তাপদাহে পুড়ছে খুলনা তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিতে
- বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
- স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা
- বিদেশিদের সাহায্যে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে বিএনপি: কাদের
- দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে
- তাপপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট সেবা শুরু
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- চাষাবাদ সহজ করতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী
- কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি ব্যয় নেমেছে অর্ধেকে
- এবার ঈদে দেশীয় পর্যটনে আয় ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
- বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী বাড়ছে যুক্ত হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- বন্ধুত্ব ও শ্রদ্ধাবোধ রাশিয়া-বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রধান ভিত্তি
- জাতিসংঘে উঠল পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অর্জিত অগ্রগতির কথা
- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর
- বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- বঙ্গবন্ধু টানেলে জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো
- চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে
- প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক
- খুলনা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে, সর্বোচ্চ চুয়াডাঙ্গা ৪১ দশমিক ৩
- বাগেরহাটে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- জলবায়ু পরিবর্তনে অধিক ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
- ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর অস্বীকার ইরানের
- ভোট দিতে একসঙ্গে ঢালিউডের ‘তিন কন্যা’, জানালেন প্রত্যাশা
- আমি আসলাম আর আপনি চলে যাচ্ছেন: নাসিরকে পরীমনি
- আজ থেকে শুরু ফিরতি ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি
- পায়ুপথে পেটের ভেতর ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ, জ্যান্ত উদ্ধার
- ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই একে একে মৃত্যুর কোলে ৪
- ৫০ বছর পর মা-মেয়ের মিলন
- চলন্ত মেট্রোতে দুই তরুণীর রং মাখামাখি, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি
- দেশের জনগন সন্ত্রাস দমন ওআইনশৃঙ্খলার উন্নাতি হওয়ায় সুফল ভোগ করছেন
- কেসিসির ৩৭ কর্মচারী চাকরিচ্যুত
- শিকলে বেঁধে ২৫ দিন ধরে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
- মসজিদের ভেতর ৫৪০ বছরের পুরোনো ‘জিনের মসজিদ’
- ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কতটুকু পানি পান করবেন
- এ বছরের ফিতরা কত জানাল ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- ইতিকাফের জন্য যেসব শর্ত মানতে হবে
- ডুমুরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- ভালো শিক্ষার্থী হলেই হবে না, আদর্শবান মানুষ হতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
- ‘অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার সুস্থ আছেন, তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে’
- অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা
- হার্টের ২৩ ধরনের রিংয়ের দাম কমলো
- রাসুল (সা.) রোজা অবস্থায় যেসব কাজ পরিহার করতে বলেছেন
- বিশ্বের সব দেশেই পরকীয়ার অস্তিত্ব আছে...