• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন কিনবে সরকার

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

বিশেষ প্রতিনিধি : ইঞ্জিন সংকট কাটাতে ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কিনছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এজন্য সরকারকে গুনতে হবে ১ হাজার ১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, সরকার ও এডিবির যৌথ অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ প্রকল্পের আওতায় ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার ১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব লোকোমোটিভ সরবরাহ করবে মেসার্স প্রোগ্রেসিভ রেল ইউএসএ।অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে জয়দেবপুর হতে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডুয়েলগেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণে একটি ক্রয় প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে চায়নার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ :
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। এজন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ৬৭৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন, ‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক কাজের প্যাকেজ এমপি-০১ এর লট ডব্লিউপি-০৬ এর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬৭৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এ কাজটি বাস্তবায়নে কাজ পেয়েছে যৌথভাবে হেগো এবং আক্তার কোম্পানি লিমিটেড।এছাড়া, বৈঠকে ৫১ একটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শিক্ষা মন্ত্রণায়ের একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর মাধ্যমে দেশের ১৬০টি উপজেলায় ১৬০ আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান দান করবে।চালু হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি টেক্সটাইল মিল :
বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি টেক্সটাইল মিল পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। মিল দুটি হচ্ছে ডেমরা টেক্সটাইল এবং টঙ্গি টেক্সটাইল মিলস। এ সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি) কর্তৃক পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে ডেমরা টেক্সটাইল মিলস চালু করতে তানজিয়া ফ্যাশন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।নাসিমা বেগম বলেন, ডেমরা টেক্সটাইল মিলটি চালুর পর প্রতি বছর তানজিয়া ফ্যাশন লিমিটেড প্রতিবছর আড়াই কোটি টাকা করে দেবে। ৩০ বছর পর চু্ক্তি নবায়ন করা হবে।তিনি বলেন, বিটিএমসি কর্তৃক পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে টঙ্গি টেক্সটাইল মিলস চালু করতে ওরিয়ন লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মিলটি চালুর পর প্রতি বছর ওরিয়ন লিমিটেড প্রতিবছর ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা করে দেবে। ৩০ বছর পর চু্ক্তি নবায়ন করা হবে।জানা গেছে, টেক্সটাইল মিল দুটি ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯৫৭ সালেই বন্ধ হয়ে যায়।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা