• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

শয়তানের ব্রিজের আজব যত কেরামতি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০১৯  

ঝামেলাবিহীন যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য প্রাচীন কাল থেকেই ব্রিজ বানিয়েছে মানুষ। তবে শয়তান যদি নিজেই সেই ব্রিজ তৈরি করে থাকে! পাশাপাশি ওই ব্রিজের নাম যদি হয় শয়তানের ব্রিজ? আর ওই ব্রিজের আজব কিছু শক্তি থাকে। তবে বিষয়টি শুনলেই শিহরিত হতে হয়। 

হ্যাঁ, পর্তুগালের মন্টেলেগ্রি এবং ভেইরা ডি মিনহোর সীমানায় এমন একটি ব্রিজ রয়েছে। যাকে স্থানীয়রা ‘ডেভিলস ব্রিজ’ অর্থাৎ শয়তানের ব্রিজ নামেই ডাকে। ব্রিজটি নিয়ে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে নানা কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। তাই সচরাচর রাত হলে স্থানীয়রা ব্রিজটির কাছে যায় না।

মধ্যযুগীয় এই ব্রিজটি খরস্রোতা রাবাগাও নদীর উপর পাথর দিয়ে তৈরি। প্রচলিত আছে, এক রাতে নাকি এক ডাকাত এ পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতর দিয়ে পালাচ্ছিল। রাবাগাও নদীর কাছে এসে আটকে যায়।

সে সময় নদী পার হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ডাকাতের ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস ছিল না। তাই সে শয়তানের আরাধনা শুরু করে।

ওই রাতেই প্রচণ্ড প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়। আর এর মধ্যেই ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে তার সামনে শয়তান এসে হাজির হয়। তার অনুরোধ মেনে রাবাগাও নদীর উপর ব্রিজ বানিয়ে দেয় শয়তান। বিনিময়ে মৃত্যুর পর তার আত্মা শয়তানকে অর্পণ করার প্রতিশ্রুতি দেয় ওই ভক্ত।

পিছনে না তাকিয়ে ছুটে ব্রিজ পার করে সে চলে যায়। সে রাতের জন্য প্রাণেও বেঁচে যায়। কিন্তু এর কয়েক বছর পর তার খুব কঠিন অসুখ হয়। মৃত্যুভয় শুরু হয়। আর তখনই মনে পড়ে যায় শয়তানের কাছে দেয়া প্রতিশ্রতি।

অতীতের সেই দিন নিয়ে আফসোস শুরু হয় তার। খুব শক্তিশালী এক যাজকের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বলেন। পরদিন রাতে রাবাগাও নদীর কাছে গিয়ে ভিখারি সেজে ওই ডাকাতের কথামতো ঠিক একইভাবে শয়তানের আরাধনা শুরু করেন ওই যাজক।

শয়তান হাজির হয়। ভিখারির বেশে থাকা যাজকের অনুরোধ মেনে আত্মার অধিকার পাওয়ায় শর্তে নদীর উপর ওই একই জায়গায় ফের ব্রিজ বানাতে শুরু করে, আর ঠিক তখনই পবিত্র জল শয়তানের উপর ছিটিয়ে মন্ত্রপাঠ শুরু করেন যাজক। উধাও হয়ে যায় শয়তান। তবে সেই ব্রিজটি রয়ে যায়।

স্থানীয়দের বিশ্বাস, যেসব মহিলাদের সন্তান ধারণে কোনো সমস্যা রয়েছে বা যারা অন্তঃসত্ত্বা, যাদের সন্তানের কোন সমস্যার কথা চিকিৎসক জানিয়েছেন, শুধু তারাই মাঝরাতে এই ব্রিজে আসেন।

এই বিশ্বাসও প্রচলিত রয়েছে, স্বামীর সঙ্গে একটি দড়ি আর একটি গ্লাস নিয়ে ব্রিজের মাঝামাঝি বসেন আর অপেক্ষা করেন স্ত্রী। অপেক্ষার সময় ওই ব্রিজ দিয়ে প্রথম ব্যক্তি যিনি হেঁটে যাবেন, তিনিই ওই গ্লাসে দড়ি বেঁধে নদীর জল তুলে মহিলার গর্ভে ছড়িয়ে দেবেন। এতেই সন্তান সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান মিলবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা