• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

যশোরে ২০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলা বর্ষ পঞ্জিকা অনুয়ায়ী আজ পহেলা ফাল্গুন। প্রকৃতিকে রাঙিয়ে দিয়ে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আর এই বসন্তে বাড়তি রং যোগ করেছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস!

বিশেষ এই দিনটি রাঙাতে থাকে নানা আয়োজন। যার মূল অনুসঙ্গ হলো রংবেরঙের ফুল। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন এলেই কয়েকগুণ বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা। আর এসব ফুলের চাহিদার ৬০-৭০ ভাগ ফুলের যোগান দিচ্ছে ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের গদখালী।

বসন্ত উৎসব ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গদখালী থেকে বিপুল পরিমাণ ফুল সারা দেশে সরবরাহ হয়েছে। গদখালী ফ্লাওয়ার সোসাইটি সূত্রে জানা যায়, বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসে দেশের বৃহৎ ফুলের পাইকারি বাজার থেকে ২০ কোটি টাকার গোলাপ, জারবেরা ও গ্লাডিওলাসসহ ১২ ধরনের ফুল দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। এ দুটি দিবস ফুলচাষি ও ব্যাপারীদের কাছে আনন্দময় দিন। এদিনেই বছরের সবচেয়ে বেশি ফুল কেনাবেচা হয়। ফুলচাষিরা আশা করছেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আরো ৩০-৪০ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে।

 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) যশোরের গদখালীর পাইকারি বাজারে প্রতিটি গোলাপ ১৫-২০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রাতিটি গ্লাডিওলাস ৮-১০ টাকা, জারবেরা প্রতি পিস ১০-১৫ টাকা, রজনীগন্ধা ৫-৬ টাকা, আঁটি জিপসি ২৫ টাকা, গাঁদা প্রতি হাজার ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

গদখালী এলাকার ফুল ব্যবসায়ী সালাম হোসেন জানান, যশোরের ফুলের চাহিদা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুল প্যাকেটজাত করে পটুয়াখালী সালাম হোসেন নামে এক পাইকারের কাছে পাঠানো হচ্ছে।

সেলিম গাজী নামে এক ফুল চাষি বলেন, তিন বিঘা জমিতে জারবেরা ও গোলাপ চাষ করেছি। সারা বছর ফুল বিক্রি করলেও এই দুটি দিবসের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। বর্তমানে ফুলের বাজার ভালো। গত এক সপ্তাহ ধরে বেশি করে ফুলের পরিচর্যা করেছি।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বসন্ত দিবস ও ভালোবাসা দিবসের ফুল বিক্রি শুরু হয়েছে। দেশের ফুলের চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ ভাগ সরবরাহ হয় যশোরের গদখালী থেকে।

তিনি জানান, বিভিন্ন দিবসে সারাদেশে যে পরিমাণ ফুল বেচাকেনা হয় তার বেশির ভাগই যশোরের। সারা বছর ফুল উৎপাদন করলেও বসন্তবরণ, ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি এই তিন দিবসকে ঘিরেই মূল লক্ষ্য থাকে ফুল চাষিদের। আর এ তিনটি দিবসে ফুল বিক্রি করেই মূলত সারা বছরের লাভ-ক্ষতির হিসাব মেলান এ অঞ্চলের ফুল চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ এমদাদ হোসেন জানান, যশোর জেলার আট উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়। তার মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কৃষক ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। অন্যবারের চেয়ে এবার ভালো ফুল বিক্রি হবে বলে তিনি আশাবাদী।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা