• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

তাকবিরে তাশরিকের বিধান

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

জিলহজ মাসের ৯ তারিখের ফজর থেকে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক পুরুষ ও নারীর ওপর প্রতি ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। নামাজ শেষে পুরুষরা উচুঁ আওয়াজে তাকবির বলবে আর নারীরা নিচু আওয়াজে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, আর আল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। অতঃপর যে তাড়াহুড়া করে দু’দিনে চলে আসবে, তার কোন পাপ নেই। আর যে বিলম্ব করবে, তারও কোন অপরাধ নেই। (এ বিধান) তার জন্য, যে তাকওয়া অবলম্বন করেছে। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় তোমাদেরকে তাঁরই কাছে সমবেত করা হবে। (সুরা বাকারা, আয়াত ২০৩)

মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবার ৫৬৭৭ নং হাদিসে রয়েছে, হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আরাফার দিন (৯ ই জিলহজ) ফজরের পর তাকবির শুরু করে আইয়ামে তাশরিক ( ৯ই জিলহজ থেকে ১৩ই জিলহজ ) এর শেষ পর্যন্ত দিতেন এবং তিনি ১৩ই জিলহজ আসরের পরও তাকবির বলতেন।

তাকবিরে তাশরিকের জন্য বিভিন্ন শব্দ হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে। হজরত আলী ও ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত শব্দগুলো নিম্মরূপ,

لله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ।

আর হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত শব্দগুলো এভাবে এসেছে-

الله أكبر الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله الحي القيوم يُحيي ويُميت وهو على كل شيء قدير

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার,আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাইয়্যুল কাইয়্যুম। ইউহয়ি ওয়ুমিত, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

উভয়টার যে কোনো একটার ওপর আমল করা যায়। তবে হজরত আলী ও ইবনে মাসউদ (রা.) এর বর্ণনাটিকে হানাফি মাজহাবের ওলামায়ে কেরাম গ্রহণ করেছেন। কেননা এটাই প্রসিদ্ধ বর্ণনা ও অবিচ্ছিন্ন কর্মধারায় বর্ণিত। আর তাছাড়া তাকবীর ও তাহলীল ও তাহমীদ সবই এতে রয়েছে।

ইমাম আবু হানীফার (রহ.) মতে একাকী নামাজ আদায়কারী ও মুসাফির ব্যক্তি এবং মহিলাদের ওপর তাকবিরে তাশরিক যদিও ওয়াজিব নয়, কিন্তু সাহেবাইনের (ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ রহ.) মতে তাদের ওপরও তাকবির বলা ওয়াজিব। এক্ষেত্রে সাহেবাইনের কথার উপরই ফতওয়া।

হজরত হাম্মাম (রহ.) বলেন, আমি কতাদাকে দেখেছি, তিনি একাকি নামাজ পড়েছেন এবং তাকবির দিয়েছেন। মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদিস নং ৫৮৮২

তাকবিরে তাশরিক কতবার বলতে হবে?

প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক মাত্র একবারই বলতে হবে। একাধিকবার বলা সুন্নত পরিপন্থী। (শামী ৩/৬১)।

নামাজ একাকী কিংবা জামাতের সঙ্গে, পুরুষ-মহিলা প্রত্যেকের ওপর একবার এ তাকবির বলা ওয়াজিব। পুরুষ উচ্চস্বরে আর নারী অনুচ্চস্বরে তাকবির বলবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা