• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

আজকের খুলনা

গুলুকোমার লক্ষণ ও কারণ কী?

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

গ্লুকোমা হলো চোখের প্রেশার। অনেকেই এ সমস্যায় ভোগেন। গ্লুকোমার  লক্ষণ ও কারণের বিষয়ে কথা বলেছেন  ডা.সিদ্দিকুর রহমান। 

বর্তমানে তিনি ভিশন আই হসপিটালে গ্লুকোমা অ্যান্ড রিফ্রাকটিভ সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত। 

প্রশ্ন : গ্লুকোমা আসলে কী?

উত্তর : গ্লুকোমা নিয়ে আমাদের এখন অনেক কথা হচ্ছে। গ্লুকোমা শব্দটার কোনো বাংলা নেই। তাই বুঝতে একটু অসুবিধা হয়। আসলে এটি এরকম একটি রোগ যেখানে চোখের প্রেশার বেশি থাকে, এই প্রেশারের সঙ্গে ধীরে ধীরে চোখের অপটিক নার্ভ আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। রোগী এক সময় চিরতরে অন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু গ্লুকোমা রোগে তেমন কোনো লক্ষণ রোগী বুঝতে পারে না, এ জন্যই আমরা একে বেশি ভয় পাই। যদি সহসা কেউ অন্ধ হয় না, সে জন্য গ্লুকোমা রোগের সচেতনতা বাড়ানো দরকার। এটা বোঝা দরকার যে গ্লুকোমা রোগে চোখের প্রেশার বেশি থাকে। ব্লাড প্রেশার যেমন হয়, চোখেরও প্রেশার রয়েছে।

ফুটবলের ভেতরে যেমন প্রেশার থাকে, তেমনি চোখেরও প্রেশার থাকে। ফুটবলে যে প্রেশার না দিলে বলটা চুপসে যায়, আবার প্রেশার বেড়ে গেলে সমস্যা হয় তেমনি। ব্লাড প্রেশার যেমন মাপতে হয়, তেমনি নিয়মিত চোখের প্রেশারও মাপা দরকার। তো ব্লাড প্রেশার তো নিয়মিত মাপা যায়, যেহেতু নিজে নিজে মেশিন দিয়ে মাপা যায়। তবে চোখের প্রেশার মাপতে একটু চোখের চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। তো আমি বলি যে বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করা উচিত, যাদের বয়স ৪০ বা চল্লিশের কাছাকাছি হয়ে গেছে তাদের। সারা দেশে যে গবেষণা রয়েছে, তাতে চল্লিশের ওপর যাদের বয়স, তাদের অন্তত এক দশমিক দুই ভাগ মানুষ গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত।

প্রশ্ন : এর তো কোনো লক্ষণ নেই। তাহলে যখন রোগী বুঝতে পারে তখন কি অনেক দেরি হয়ে যায়?

উত্তর : রোগী এসে বলে, হয়তো পাশে রিক্সা চলছে, আমি বুঝতে পারছি না। হাত লাগছে বা কনুই লাগছে। মানে হলো, পাশ থেকে যায়, তবে দেখতে পায় না। গ্লুকোমা রোগীর দেখাটা কেমন কমে? দূরে অনেক দূর দেখতে পায়। যেমন, একটি টেলিভিশনের স্ক্রিন যদি চিন্তা করি, এর কেন্দ্র ভালো রয়েছে। পাশ থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যেদিকে তাকায় সেদিকেই কেবল দেখতে পায়, তবে পাশে দেখতে পায় না। অন্ধকারে টর্চ জ্বালালে কেমন হয়? যেখানে আলো পড়ে সেখানে দেখা যায়, আর চারপাশে দেখা যায় না। গ্লুকোমা রোগীর দৃষ্টিশক্তিটা এরকম টিউবের মতো হয়ে যায়। এ চিকন জায়গা দিয়ে সে ঘুরে ঘুরে দেখে। তার জগত অতটুকুই। ৮০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ রোগী বুঝতে পারে। না হলে রোগী সাধারণত অনুভব করতে পারে না।

গ্লুকোমা রোগীদের চোখে কী কী ঘটনা ঘটে? একটি ঘটনা হলো, আমরা প্রেশারটা বেশি পাই, তবে এটি ছাড়াও, গ্লুকোমা রয়েছে। তো প্রেশার কম কিন্তু গ্লুকোমা। শেষ পর্যন্ত আমাদের চোখের কাজ কী? দেখা তো? চোখের স্নায়ুটা ঠিক রয়েছে কি না। চোখের ভেতর রেটিনা বড় করে, অপটিক নার্ভটা পরীক্ষা করি। এগুলোর জন্য পরীক্ষাও রয়েছে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা