• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আজকের খুলনা

কাদায় নিমজ্জিত সড়ক

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০১৯  

গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে কাঁচা সড়ক পাওয়া দুষ্কর। এমনকি সরকার বাড়ি বাড়ি পাকা সড়ক নির্মাণ করে দিচ্ছে। তবে নাটোরের সিংড়ার বড়সাঁঐল বাজার থেকে কুশাবাড়ি সড়কে দেখা মিলল ভিন্ন চিত্র। সড়কটি কাঁচা থাকায় অল্প বৃষ্টিতে দ্রুত কাদা-পানিতে নিমজ্জিত হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন দশ হাজার বাসিন্দা। 

প্রাচীনকাল থেকে বড়সাঁঐলটি ঘনবসতিপূর্ণ জনপদ। বড়সাঁঐল বাজারের পাশে বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে। এছাড়া শিক্ষা বিস্তারে বড়সাঁঐল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়সাঁঐল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বড়সাঁঐল টেকনিক্যাল-বিজনেস ম্যানেজমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ অবদান রেখে চলেছে। কুশাবাড়ী সড়কের পাশে রয়েছে পাটসাঁঐল কমিউনিটি ক্লিনিক। বড়সাঁঐল বাজারে দুই শতাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাড়ি বাড়ি গড়ে উঠেছে গাভীর খামার। দুধ কিনতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে একটি ডেইরি হাব। এলাকার প্রায় সব সড়ক পাকা হলেও এখনো কাঁচা রয়ে গেছে বড়সাঁঐল থেকে কুশাবাড়ী পর্যন্ত ২.৬ কিলোমিটারে সড়ক। একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। 

বড়সাঁঐল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ইতি খাতুন বলেন, বৃষ্টির দিনে সড়ক কাদায় একাকার হয়। এতে স্কুলে যাওয়া হয় না। এ সময় সিংড়া সরকারি গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজের ছাত্র সুমন আলীও একই কথা জানান। 

পাটসাঁঐল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওহাব বলেন, বৃষ্টির দিনে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায় না। কাদাপানিতে সড়ক ভরে উঠলে শিক্ষার্থীদের হাজিরা কমে যায়। 

ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, এই এলাকাটি মাছ ব্যবসায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ। গ্রামটিকে পুকুরের গ্রাম বলা হয়। বড়সাঁঐল-কুশাবাড়ী সড়কটি মাছের পোনা আর খাবার ও মাছ বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। 

জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি সরকার আনিসুর রহমান বলেন, সরকার বাড়ি বাড়ি সড়ক পাকা করে দিচ্ছে। তবে বড়সাঁঐল-কুশাবাড়ী সড়কটির জন্য ভোগান্তিতে রয়েছি। সংশ্লিষ্ট দফতর ও প্রতিনিধিদের কাছে গণস্বাক্ষর দেয়া হয়েছে। তারা শুধু আশার বাণীই শোনান। একই কথা জানান হাতিয়ান্দহ ইউপির সদস্য রফিকুল ইসলাম।

কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার আতাউর রহমান জানান, পাটসাঁঐল কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ জন সেবাগ্রহীতা আসেন। তবে বৃষ্টির দিনে তা কমে সাত থেকে আটজনে দাঁড়ায়। 

সিংড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. হাসান আলী জানান, কুশাবাড়ী থেকে আধা কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সৃষ্ট বৃষ্টির প্রভাব কেটে গেলে কাজ শুরু হবে। আর সড়কের অবশিষ্ট কাজ বছরের শেষার্ধে আইআরআইডিপি-৩ কর্মসূচির আওতায় অর্ন্তভুক্ত করে নির্মাণ করা হবে।

আজকের খুলনা
আজকের খুলনা